রোগের বিবরণ
দাঁতের এনামেল ডেন্টিন টুথপাল্প মাড়ি প্রভূতি অংশ বিভিন্ন কারণে ক্ষয়প্রাপ্ত বা প্রদাহিত হতে থাকাকেই দাঁতের রোগ বলা হয়।
রোগের কারণ
ক্যালসিয়াম ফসফরাস ভিটামিন সিট প্রভৃতির অভাব ঠান্ডা লাগা দাঁতের ফাঁকে ময়লা জমা অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট যুক্ত মাজন ব্যবহার বীজাণু সংক্রমনের প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে দাঁতের রোগ হয়।
রোগের লক্ষণ
১ দাঁতের গোড়া ফুলে ওঠা এবং ব্যাথা হয় চাপ দিলে আরাম বোধ হয়
২ দাঁতের গোড়ায় পুচ জমা তথ্যসহ প্রচন্ড প্রদান হতে থাকে
৩ দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত বের হয় মুখে দুর্গন্ধ বের হয়
৪ দাঁতের গোড়ায় ঘা হয় ঠান্ডা পানি খেলে দাঁত কনকন করে
৫ দাঁত ক্ষয়ে যায় এবং মাঝে বরাবর গর্ত হয়ে যায়
চিকিৎসা
১ দাঁতের গোড়ায় ফোলা ও যন্ত্রণা হতে থাক
cap Ampoxin 500 mg ( ক্যাপসুল অ্যাম্পক্সিন ৫০০ মিগ্রা
১ করে দিনে ৩ বার ৫ দিন খেতে হবে
অথবা Cap Hipenox 500 mg ( ক্যাপসুল হাইপেনক্স ৫০০মিগ্রা
১ টি করে দিনে ৩ বার ৫ দিন খেতে হবে
২ গোড়া খুব ফুলে গেলে গরম জলে কুলি করতে হবে। পেকে গেলে ফোড়া কেটে পুজ রক্ত বার করে দিতে হবে দাঁতের ক্ষয় খুব বেশি হলে গেলে দাঁত তুলে ফেলতে হয়। ক্ষয় সামান্য হলে ভালো ডেন্টিস্ট দিয়ে শীল করে নেওয়া যায়
৩ দাঁতের গোড়া থেকে রক্তপাত হলে নিচে যে কোন মাজন দিয়ে দাঁত মাজতে হবে
Descent Toothpaste ( ডিসেন্ট টুথপেস্ট)
অথবা Senolin Toothpaste ( সেনোলিন টুথপেস্ট)
অথবা Thermosil Toothpaste ( থামোসিল টুথপেস্ট)
এগুলি ১ থেকে ২ সেমি পরিমাণে নিয়ে আঙ্গুল দিয়ে অথবা সফট ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে দাঁত মাজতে হবে ২বার
৪ জিজ্ঞিভাইটিস Gingivitis এর লক্ষণ থাকলে দিতে হবে
Tab Flagyl 200 mg ( ট্যাবলেট ফ্লাজিল ২০০ মিগ্ৰা)
১ টি করে দিনে ৩ বার ৪ দিন খেতে হবে
অনুষঙ্গিক চিকিৎসা
ভিটামিন জাতীয় খাদ্য অধিক পরিমাণে খেতে হবে শতকরা জাতীয় খাদ্য কম খেতে হবে প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ ধুতে হবে পেয়ারা পাতা নুন ও জল ফুটে কুলি করলে দাঁতের রোগের উপকার হয় আবোল তাবোল মাজন ব্যবহার কর উচিত নয়। মাজনের অভাবে সরিষার তেল নুন ও ফেরেন্ডার আটা এক্ষেত্রে মিশে দাঁত মজাই ভালো।
আপনার ডাক্তারবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করুন
