ডুস দেওয়ার জন্য ডুস রাবার টিউব এবং ক্যাথিটার ও নজর এর প্রয়োজন হয়। এর মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর বাওয়েল ওয়াশ মহিলাদের জরায়ু ওয়াশ প্রভৃতি করা হয়
প্রথমে যন্ত্রপাতি সমূহ গরম জলে ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর ডুস ক্যানটি ঈষদুষ্ণ জলে পূর্ণ করে কোনো উঁচু জায়গায় ঝুলেয়ে দিতে হবে। ঐ জলে প্রয়োজন অনুযায়ী পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গনের বা অ্যাণ্টিসেপটিক লোশন বা অন্যান্য ঔষধ মেশানো হয়। জরায়ু ধৌত করার জন্য ডুস দিলে একটি ক্যাথিটার যোনি মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে। রোগীকে নিচের চিত্রে ন্যায় শুইয়ে ঐ ক্যাথিটারে প্রবেশ করাতে হবে।এরপর একটি রাবার নল উপরে ডুস ক্যানে এবং নিচে ক্যাথিটারে সংযুক্ত করতে হয়।ডুস ক্যানের স্টপকক খুলে তার মধ্যস্থিত তরলের প্রবাহ চালু করলে ঐ তরল যোনিপথে প্রবেশ করে এবং তা জরায়ুতে চলে যায়। পরে প্রবাহ বন্ধ করে ক্যাথিটার বার করে নিলে তরল জরায়ু ওয়াশ করে বার হয়ে আসবে।
জরায়ু ওয়াশ করার প্রয়োজন হয় গর্ভপাত হবার পর প্রসবের পর গর্ভফুল ঠিকমত নির্গত না হলে জরায়ুতে ঘা ব পূঁজ হলে প্রসবের পর জরায়ু ও যোনিমধ্যে বীজাণু দূষণ হলে লিউকোরিয়া বা শ্বেত প্রদরে দীর্ঘ দিন ভূগলে।
মলদ্বারে ডুস দিয়ে পায়খানা করাতে হলে ডুস ক্যানে হালকা গরম জল নিতে হয় তাতে গ্লিসারিন অথবা সাবান জল মেশাতে হয়। রোগীর মলদ্বারে নলটি 2-3 ইঞ্চি প্রবেশ করিয়ে ডুস ক্যানের ষ্টপকক খুলে তরলের প্রবাহ চালু করতে হবে।
সমস্ত তরল মলাশয়ে যাওয়ার পর তা খুলে নিতে হবে এবং রোগীকে পা মুড়ে মলদ্বার রুদ্ধ করে শুয়ে থাকতে দিতে হবে। এরপর মলত্যাগের বেগ বাড়লে মলত্যাগ করতে হবে। এভাবে 2-3 দিন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যায়
