সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Pediculosis Description Of The Diseases Causes Of The Diseases Health And Medicine Trips Bangla উকুন রোগের বিবরণ রোগের কারণ

 
রোগের বিবরণ

মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে উকুন (Lice) নামক পরাশ্রয়ী  ক্ষুদ্র কিটের আক্রমণজনিত লক্ষণসমূহ কে পেডিকিউলো সিস বলা হয়

আক্রান্ত তন্ত 

ত্বকের এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সেই হতে পারে।
আক্রমণের লিঙ্গ পুরুষের তুলনায় মহিলাদের এই রোগে অধিক আক্রান্ত হন

রোগের কারণ

মানুষের শরীরে তিন ধরনের উকুন হয়
প্রথম প্রকার হলো মাথার উকুন বা( pediculus humans capitis, যা দেখতে তামাকে রঙের। এই উকুন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা বা এক বালিশে শয়ন করা বা এক চিরুনিতে চুল আঁচড়ালে প্রকৃতি মাধ্যমে সুস্থ ব্যক্তির দেহে আসে । এইবে যদি একটি গর্ভিনী উকুন সুস্থ ব্যক্তির মাথায় আসে তা থেকে ১০০ টির ও বেশি ডিম প্রবেশ হয় থাকে এই ডিমকে বলা হয় নিকি ( nits) এই নিকি ৭ থেকে ১০ দিন পর ফুটে নতুন উকুনের জন্ম দেয়।এইভাবে এরা বংশবিস্তার করে।
দ্বিতীয় প্রকার হলো দেহের উকুন বা ( pediculus humans corporis) যা দেখতে সাদাটে রঙের।এরা সাধারণত পোশাকে থাকে এবং খাবার সময় মানুষের শরীরে আসে। পোশাক পরিচ্ছন্ন বদল বা আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানায় শয়নে মাধ্যমে এই উকুন সুস্থ ব্যক্তির পোশাকে চলে আসে
তৃতীয় প্রকার হলো পেডিকিউলাস পিউবিস ( pediculus pubis) বা phthirus pubis, যা দেখতে চকোলেটের রঙের । এরা বিট প্রদেশের লোম বগল গোঁফ দাড়ি চোখের পাতা প্রভূতি অংশে থাকে। এরা সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে  বিস্তার লাভ করে।

রোগের লক্ষণ

১মাথার উকুন মাতার চাঁদিতে কামড়ায় ফলে মাতা চুলকায় মাথার চাঁদিতে ঘাও হতে পারে। চিরুনি ব্যবহারের পর লক্ষ্য করলে তাতে উকুন দেখা যাবে। তবে নিকি কোনভাবেই তোলা যায় না সেগুলি চুলের গায়ে লেগে থাকতে দেখা যায়।
২ গায়ের উকুন গায়ে কামড়ালে গা চুলকায় এবং ছোট ছোট উদ্ভিদ বের হয়।
৩ বিটপদেশে বা বগলের  উকুনেও সর্বদা সুরসুরি করা বা কামড়ানোর ভাব লক্ষ্য করা হয়। এই উকুন আবাস ছাড়াও ১০ দিন পর্যন্ত বাঁচে।

চিকিৎসা 

১ চোখের পাতায় উকুন ছাড়া বাকি সকল স্থানে উকুনের চিকিৎসা করা নিম্নরূপ
Scarab Lotion ( স্ক‍্যারাব লোশন ) 
অথবা Gab Lotion ( গ‍্যাব লোশন )
এই ঔষধ গুলি মাতা বা অন্যান্য আক্রান্ত অংশে ভালোভাবে লাগাতে হবে এবং সেই অংশের কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে যাতে উকুন বাইরে অন্যএ আশ্রয় না নিতে পারে। ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পর সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করে ভালোভাবে স্নান করে ফেলতে হবে। এবং সরু চিরুনি ব্যবহার করে সমস্ত উকুন মাথা থেকে বের করে ফেলতে হবে
প্রথম চিকিৎসা ১ সপ্তার পর পুনরায় একদিন  ঐ ঔষধ একইভাবে ব্যবহার করতে হবে কারণ ঐ সময়ের মধ্যে নিকিগুলি ফুটে বাচ্চা বের হয় তাই সেগুলিকে ধ্বংস করতে পুনরায় লোশন ব্যবহার অপরিহার্য নচেৎ চিকিৎসা বিফলে যাবে
২ চোখের পাতায় বা  ভ্রুতে উকুন থাকলে(  petrolatum jelly) পেট্রোলেটাম জেলি অর্থাৎ ভ্যাসেলিন লাগাতে উকুনগুলি শ্বাস রুদ্ধ  হয়ে মারা যায় নিকি গুলিকে নষ্ট করতে এই ব্যবহারের দিনে 2 থেকে 3বার 7 থেকে 10 দিন চালাতে চালানো উচিত
এর সাথে যদি সংগ্রহ করা যায় তাহলে (হাইড্রাগ  অক্সিডাম ফ্লেভাম ) মিশে নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা 

নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্ন বিছানা পত্র প্রথমে D D T পাওডার মিশ্রিত জলে ভিজিয়ে পরে ডিটারজেন্ট পাউডার দ্বারা কাচতে হবে।
মাতায় নিয়মিত শ্যাম্পু সাবান  ও তেল প্রভৃতি ব‍্যবহার করতে উকুনের পুনরাক্রমণ ঘটে না। ছোট করে চুল কাটা এবং তিন থেকে চার বার ভালো চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে উকুন হয় না উকুন  কামড়ানোর ফলে চর্মে ক্ষতের  এর সৃষ্টি হয় জীবাণুর নাশক ঔষধ ব্যবহার করা চলবে। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...