Acidity Health And Medicine Trips Bangla (অম্লরোগ রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র রোগের আক্রমণের বয়স রোগের লিঙ্গ রোগের কারণ রোগের লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা)
রোগের বিবরণ
পাকস্থলীর গা থেকে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বেশি নিঃসৃত হওয়া এবং পিত্তরস পিত্ত হতে সঠিক পরিমাণে নির্গত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রশমিত হয় ফলে তা সঞ্চিত থেকে বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি করে। এই অ্যাসিডের অধিক্যকেই অম্লরোগ বা অ্যাসিডিটি বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র
পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়
রোগ আক্রমণের বয়স
এই রোগ সব বয়সেই হতেই পারে তবে বয়স্কদের বেশি হয়।
আক্রান্ত লিঙ্গ
স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়েই রোগ সমান হারে হতে দেখা যায়
রোগীর কারণ
পাকস্থলীতে ক্ষরিত হওয়া HCI এ্যসিডের এর পরিমাণ বেশি হওয়া অন্যান্য উৎসচকের ক্ষরণ কম হওয়া পিত্তরস কম আসা প্রভৃতি প্রধান কারণ। এছাড়া খালি পেটে থাকা ও পরে রসাল এবং গুরুপাক খাদ্য খাওয়া একেবারে অতিরিক্ত খাওয়া অসময়ে খাওয়া রাত জাগা খাওয়ার পর কোন বিশ্রাম না নিয়ে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা প্রভৃতি থেকে এই রোগের সৃষ্টি হয়।
রোগের লক্ষণ
১ পেট ভার বোধ এবং উপর দিকে বায়ুর ঠেল দেওয়া বুঝতে পারা যায়।
২ টক ও জ্বালাকরা ঢেকুর ওঠে।
৩ মুখে টক জল ওঠে। পেটে জ্বালা ভাব হতে দেখা যায়। খোঁচানো বেদনা হতে পারে।
৪ গলা ও বুক জ্বালা করা এবং পাঁজর কনকন করা হতে পারে।
৫ পেট ফাঁপা এবং কখনো কখনো দুর্গন্ধযুক্ত বায়ুনিঃসরণ প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৬ মাথা ধরা মাথা যন্ত্রণা কপালের দিকে ভারীবোধ প্রভৃতি লক্ষণ ও থাকে।
চিকিৎসা
*নিচে যে কোন একটি অম্লনাশকারি (Antacid) ঔষধ দিতে হবে।
* Siloxogene-gel( সাইলক্সোজেন জেল)
২ চামচ করে দিনে ৩ বার জল মিশিয়ে খেতে হবে
অথবা Diovol ( ট্যাবলেট ডায়োভল)
২টি করে দিনে ৩ বার চিবিয়ে খেতে হবে।
**পাতলা পায়খানা বা আমযুক্ত মল দেখা দিলে নিচে যে কোন ওষুধ দিতে হবে
Tab Enteroguanidine(ট্যাবলেট এন্টারোগুয়ানিডিন
১-২ টি করে দিনে ৩ বার খাবার পর দিতে হবে
***পাকস্থলীর ক্ষত থাকলে নিচে ঔষধ দিতে হবে
Tab Aciloc 300 mg( ট্যাবলেট অ্যাসিলক ৩০০মিগ্ৰা)
১টি করে প্রত্যহ রাতে শোবার সময় দিতে হবে
অথবা Tab Faltidin 40 mg ( ট্যাবলেট ফলটিডিন ৪০ মিগ্ৰা)
১ টি করে প্রত্যহ রাত্রে শোবার সময় দিতে হবে
অনুষঙ্গিক চিকিৎসা
কেবলমাত্র ঔষধ খেলেই রোগ সারবে না। খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা এই রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত আহারই এই রোগের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা। খাদ্য তালিকা অনুযায়ী খাদ্য খাওয়া ভালো।
সকালে খালি পেটে ডিমসিদ্ধ তারপরে শুকনো মুড়ি বা রুটি সেঁকে খেতে হবে। এই সময় ছোলা মটর ভেজানো খাওয়া ভালো। ২ ঘণ্টা পর পুনরায় সব শুকনো খাবার খাওয়া ভালো।
দুপুরে সুসিদ্ধ ডাল হালকা ঝোল সুসিদ্ধ ও মশলা কমযুক্ত তরিতরকারি খেতে হবে। বিকেলে মুড়ি চিঁড়া বিস্কুট ছানা ফলমূত্র দুধ প্রভৃতি খেতে হবে।
রাত্রিতে সুসিদ্ধ ভাত হালকা ঝোল সুসিদ্ধ তরকারি অল্প দই এবং অধিক পরিমাণে জল খেতে হবে।
নিষিদ্ধ ভক্ষ্য --পাকা মাছ মাংস মশলাদার বা ভাজা খাবার টক বা ঝাল অধিক পরিমাণে শাক পাকা মাছ চিংড়ি কাঁকড়া বেশি ডিম বা দুধ প্রভৃতি।
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত
