সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Amoxicillin Health And Medicine Trips Bangla ( অ্যামক্সিসিলিন ব্যবহার মাত্রা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আন্তঃক্রিয়া সাবধানতা)

 


ইহাও পেনিসিলিয়ামের সংয়োগসাধনে প্রস্তুত অ্যাম্পিসিলিন সদৃশ একটি বহু ব্যাপক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ঔষধ। ইহা স্ট্রেপটোকক্কাস স্ট্যাফাইলোকক্কাস

নিউমোকক্কাস ঈ-কোলি নেইসেরিয়াগণোরিয়া হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা স্যালমোনেল্লা টাইফি প্রোটিয়াস মাইরাবিলিস প্রভৃতি বীজাণুদের উপর সক্রিয়।ইহা অ্যাম্পিসিলিনের চেয়ে অধিক পরিমাণে শোচিত হয়।মুখে খাবার ঔষধ ৯০ শতাংশ পাকস্থলী থেকে শোষিত হয়। ইহা  শরীরের সমস্ত কলাকোষে এবং দেহরসে সমানভাবে পৌঁছায় এবং তা অ্যাম্পিসিলিনের চেয়ে অধিক মাত্রার। রক্তরসে ১ ঘন্টার অ্যাম্পিসিলিনের চেয়ে দ্বিগুণ মাত্রায় উপস্থিত হয়। এবং রক্ত রসের দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় ইহার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম এবং মূল্য মাধ্যমে বেশি পরিমাণে নির্গত হয়ে যায়। এই ঔষধ সদ্যোজাত শিশু এবং গর্ভবতী মহিলাদের ব্যবহার করা চলে।

ব্যবহার

ফ্যারিংজাইটিস ল্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস ব্রঙ্কাইটিস নিউমোনিয়া প্রভৃতি শ্বাসযন্ত্রের পীড়া নাক ও কানের রোগ চর্ম রোগ টাইফয়েড প্যারাটাইফয়েড মেনিনজাইটিস প্রস্রাবপীড়া সিফিলিস গণোরিয়া প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয়।

মাত্রা

বয়স্কদের ২৫০-৫০০ মিগ্ৰা দিনে ৪ বার ৭- 10 দিন পর্যন্ত দেওয়া যায়। সদ্যোজাত শিশুদের ক্ষেত্রে ড্রপ ঔষধ ১০০ মিগ্ৰা/১মিলি অর্থাৎ ২০ ফোঁটা  ৫-১০ ফোঁটা দিনে ৩-৪ বার দিতে হয়। ৬ মাসের নিচের ড্রাই সিরাপ আধ চামচ বা কিউট্যাব অদ্ধেকটি করে দিনে ৪ বার দেওয়া যাবে। ৬ মাস ৪ বছর পর্যন্ত ১২৫ মিগ্ৰা করে দিনে ৪ বার অর্থাৎ ১ চামচ ড্রাই সিরাপ বা একটি ১২৫ মিগ্ৰা ডিসট্যাব দিনে ৪ বার  দেওয়া যাবে।তদূদ্ধের ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫০ মিগ্ৰা ক্যাপসুল বা ক্যাপসুল বা ডিসট্যাব দিনে ৩-৪ বার পর্যন্ত দেওয়া যাবে। বয়স্কদের গণোরিয়া রোগে ৩ গ্ৰাম অর্থাৎ ৫০০ মিগ্ৰা ক্যাপসুল ৬ টি দিনে ১ বার মাত্র খেতে দিতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

বমি গা বমি ভাব পাতলা পায়খানা চর্মে উদ্ভেদ আমবাত
লিউকোপেনিয়া নিউট্রোপেনিয়া অ্যানিমিয়া ইওসিনোফিলিয়া অ্যাগ্ৰানুলোসাইকোসিস প্রভৃতি হতে পারে।পেনিসিলিয়ামে অ্যালার্জি থাকলে ইজ্ঞেকশান ঔষধে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

আন্তঃক্রিয়া

টেট্রাসাইক্লিন এরিথ্রোমাইসিন অ্যালোপুরিনল প্রভৃতি ঔষধের সঙ্গে আন্তঃক্রিয়া ঘটে ফলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
ওর‍্যাল কন্ট্রাসেপটিভের সঙ্গে আন্তঃক্রিয়া হয়।ফলে একসাথে ব্যবহার করলে গর্ভনিরোধন চেষ্টা ব‍্যর্থ হয়।

সাবধানতা 

পেনিসিলিয়ামে অ‍্যালার্জি থাকলে অ‍্যামক্সিসিলিন ব‍্যবহার নিষিদ্ধ।গর্ভবতী ও স্তন‍্যদানকারী মহিলাদের উচ্চমাত্রায় ব‍্যবহার নিষিদ্ধ।

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...