সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Dysmenorrhoea Health And Medicine Trips Bangla (বাধক রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র রোগের কারণ রোগের লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা)


রোগের বিবরণ

স্ত্রী লোকের ঋতুকালীন সময়ের বস্তি প্রদেশে প্রদাহ হওয়াকে বাধক বা Dysmenorrhoea বলা হয়।

আক্রান্ত তন্ত্র

কেবলমাত্র জননতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
কেবলমাত্র মহিলারাই এই রোগ আক্রান্ত হন।

রোগের কারণ

হর্মোনের স্বল্পতা জন্ম থেকে জননতন্ত্রের গঠনগত ত্রুটি থাকার জরায়ু সহ সমগ্র জননতন্ত্রের অপূর্ণতা রক্তাল্পতা অত্যধিক পরিশ্রম প্রভৃতি কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়।

 রোগের লক্ষণ

১ ঋতুর সময়ে মেয়েদের তলপেট কোমর পিঠের নিচের অংশ মেরুদন্ড প্রভৃতি অংশের দারুণভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে।
২ ঋতুস্রাব খুব কম হয়।
৩ এক সময় যন্ত্রণার তীব্রতার হয়ে ওঠে ফলে রোগীনী  যন্ত্রণার ছটফট করতে থাকে। প্রথম দিন যন্ত্রণা কম হয় তবে দ্বিতীয় দিন ও তৃতীয় দিন যন্ত্রণা বেশি হয়। চতুর্থ দিন থেকে যন্ত্রণা কমতে শুরু করে।
৪ যন্ত্রণা নাশক ঔষধ খেলে সে বারের মতো কমে যায় কিন্তু পরে ঋতুচকের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
৫ ঋতু শুরুর ২ দিন আগে থেকে পা দুটিতে এবং ঊরুতে ব্যাথা যন্ত্রণা শুরু হতে থাকে।
৬ ঋতু চলাকালীন অলস্যভাব গা হাত পা ম্যাজ ম্যাজ করা মাথা ধরা বুক ধড়ফড় করা মাথা ঘোরা গা বমি ভাব অক্ষুধা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।

চিকিৎসা

1 ঋতু চলাকালীন ব্যাথা যন্ত্রণা নাশক নিচের যেকোনো একটি ঔষধ খেতে দিতে হবে।
Tab Meftal Spas ট্যাবলেট মেফটাল স্প্যাস)
১ টি করে দিনে ২-৩ বার প্রয়োজন অনুযায়ী ৩-৪ দিন খেতে হবে।
2 হর্মোনের গোলযোগ বা জননতন্ত্রের অপরিণতি থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হলে নিচে যে কোন টি ঔষধ ভালো ফল পাওয়া যায়
Tab Ovral- L (ট্যাবলেট ওভরাল এল )
ঋতুচকের পঞ্চম দিন থেকে শুরু করে প্রত্যহ ১ টি করে খেতে হবে ২১ দিন এগুলি পরস্পর ৩ থেকে ৪ টি ঋতু চক্র চালাতে হবে।
অথবা Tab Ovral-G (ট্যাবলেট ওভরাল জি )
ঋতুচক্রের পঞ্চম দিন থেকে শুরু করে প্রত্যহ ১ টি করে খেতে হবে ২০ দিন
 3 অপুষ্টি রক্তল্পতা জরায়ুর অপূর্ণতা প্রভৃতি দূর করতে নিচের ঔষধ দিতে হবে।
Syrup Cheri (সিরাপ চেরি)
৩ চামচ করে দিনে ১-২ বার খাবার পর খেতে হবে ১-২ মাস
অথবা Syrup Hemact (সিরাপ হিম্যাক্ট)

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা

১ ঠান্ডা খাদ্য খাওয়া নিষিদ্ধ। গরম পানির খাওয়া এবং তলপেটে গরম সেঁক দেওয়া ভালো।
২ বিবাহিত মহিলাদের গর্ভধারণের উপদেশ দেওয়া ভালো। কারণ একটি সন্তান প্রসবের পর এই রোগ সচরাচর থাকে না।
৩ হালকা ব্যায়াম ও মুক্ত বাতাসের ভ্রমণ এই রোগে পক্ষে উপকারী।
৪ হালকা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া দরকার।


এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...