সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Epilepsy Health And Medicine Trips Bangla মৃগীরোগ

 
রোগের বিবরণ

মস্তিষ্ক ও ব্রেনের অস্বাভাবিকতা ও তার জন্য খিঁচুনি জ্ঞান লোভ পাওয়া প্রভৃতিকে মৃগীরোগ বলা হয়।

আক্রান্ত তন্ত্র

স্নায়ুতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
বংশগত কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বংশগত কারণে জড়িত থাকে।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সে এই রোগ হতে পারে।
আক্রমণের লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমানভাবে এই রোগ হতে পারে।

রোগের কারণ

মস্তিস্কে অক্সিজেনের সরবরাহ ঠিকমতো না হওয়ার মস্তিষ্কে টিউমার হওয়া মস্তিষ্কে মারাত্মক আঘাত হওয়া সীমা অ্যালকোহল পাইক্রোটক্সিন ট্রিকনিস প্রভৃতির  বিষক্রিয়া বাহ‍্যিক কারণ যেমন শব্দ আলোকও  অনুভূতির বিকৃত জনিত সমস্যা মারাত্মকভাবে জ্বরে ভোগা প্রভৃতি থেকে এই রোগের সূচনা হয়।।

রোগের লক্ষণ

১ মাথা ঘোরা মাথা ঝিমঝিম করা সেইসঙ্গে চৈতন্য লোপ হয়
২ সর্বঙ্গে ব্যাথা কান ভোঁ ভোঁ করা ঝাপসা দৃষ্টি প্রভৃতি থাকতে পারে।
৩ মুখে ফেনা এবং গায়ে ঠান্ডা চটচটে ঘাম হয
৪ জ্ঞান লোপ পাওয়ার সাথে সাথে রোগীর সারা দেহের পেশী সমূহ শক্ত ও দৃঢ় হয়ে যায়। এই অবস্থায় ৩০ থেকে ৪৫ মিটার পর্যন্ত থাকতে পারে মুখে গোঁয়ানির শব্দ হয়।
৫ ২থেকে৫ মিনিট খিচুনি হয় তারপরে খিচুনি বন্ধ হয়ে রোগীর নিস্তেজ ভাবে কিছুক্ষণ পরে থাকে
৬ রোগীর জিভ কামড়ে ফেলতে পারে। কখনো কখনো মল মূত্র ত্যাগ করে বসে।
৭ হৃদপিন্ডে অনিয়মিত কাজ উচ্চ বা নিম্নরক্ত চাপ হতে পারে।
৮ জিহ্বার ও অসাড়তা হতে পারে।
৯ মস্তিষ্কের পরিচালনা ক্ষমতার লোপ পাওয়া মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ হলে অবরোধ মস্তিষ্কের শোথ প্রভৃতি থাকতে পারে।

রোগ নির্ণয় 

১ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী।
২ বংশ ইতিহাস থাকে।
৩ EEG Analysis অর্থাৎ ইলেকট্রো এসেফালোগ্ৰাম  পর্যবেক্ষণ থেকে রোগীর হদিস পাওয়া যায়।
৪ C.T.Scan,MRI প্রভৃতি থেকেও রোগের হদিস পাওয়া যায়
৫ সিরাপ গ্লুকোজ সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্যালসিয়াম ফসফরাস  ম্যাগনেসিয়াম BUNঅ্যামোনিয়া প্রভৃতি টেস্ট করলে রোগের হদিস মেলে। এগুলির মাত্রা অস্বাভাবিক হয়।।

চিকিৎসা

1 অ্যাকিউট অবস্থায় অর্থাৎ আক্রমণের প্রথম অবস্থায় যখন সংজ্ঞা লোপ খিঁচুনি মুখে ফেনা ওঠে প্রভৃতি চলতে থাকে তখন নিচে চিকিৎসা চালাতে হবে
Tab versizur 200mg( ট্যাবলেট ভারসিজার ২০০মিগ্ৰা)
১টি করে ৩বার পরে ২ টি করে দিনে ৩ বার দেওয়া যাবে।
অথবা Tab Tegretol 200 mg ( ট্যাবলেট টেগ্ৰেটল২০০ মিগ্ৰা)
১ টি করে দিনে ৩ বার ১ সপ্তাহ, পরের সপ্তাহে ৪০০ মিগ্ৰা ট্যাবলেট দিনে ৩ বার দেওয়া যাবে।
2 Grand Mal Epilepsy অর্থাৎ সম্পূর্ণভাবে চৈতন্য লোপ প্রাপ্ত মৃগী রোগের চিকিৎসা নিম্নরূপ হবে।
Tab Epsolin-100 mg ( ট্যাবলেট এপসোলিন ১০০ মিগ্ৰা)
১ টি করে দিনে ৩ বার খাবার পর দুধসহ খেতে হবে।
অথবা Cap Epileptin 100 mg ( ক্যাপসুল এপিলেপটিন ১০০ মিগ্ৰা
১ টি করে দিনে ৩ বার খাবার পর দুধসহ খেতে হবে।

অনুষঙ্গিক চিকিৎসা 

মৃগী রোগের নাকের কাছে শুকনো চামড়া অথবা চামড়ার জুতো দিয়ে তার ঘ্রাণের ফলের শীঘ্র চৈতন্য লাভ হয়।
মৃগীরোগেকে লঘু পথ্য নিরামিষ ভোজন ও শীতল জলে স্নান প্রভৃতি করানো ভালো। মৃগী রোগের মৃত্যুর কারণ হয় আকস্মিক দুর্ঘটনা। তাই তাদের সর্বদা সাধারণত অবলম্বন করা দরকার। মৃগী রোগের পুকুরে নামা বা সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ ।মেশিন চালানো গাড়ি চালানো পাহাড়ে ওটা প্রভৃতি বন্ধ রাখতে হবে তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 




এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...