সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

how to uses Fistula Symptoms uses in Bangali ভগন্দর রোগের কারণ

 

রোগের বিবরণ

মলদ্বারের এক মুখ বিশিষ্ট নালী ঘা অথবা মলদ্বারের চার ধারে ক্ষত সৃষ্টি হওয়াকে ভগন্দর বলা হয়।

আক্রান্ত তন্ত্র

প্রৌষ্টিকতন্ত্র ত্বক প্রভৃতি এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সের এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমানভাবে এই রোগ হতে দেখা যায়।

রোগের কারণ

অর্শ রোগে দীর্ঘদিন ভোগা মলদ্বারে ফোঁড়া ও বিভিন্ন কারণে মলদ্বার ফেটে ক্ষত সৃষ্টি এবং তাতে বীজাণু ও সংক্রমণ প্রভৃতি থেকে এই রোগের সৃষ্টি হয়।

রোগের লক্ষণ

১ মলের সঙ্গে ও রক্ত মিশ্রিত পূঁজ  নির্গত হয়। 
২ মলদ্বারের স্ফিংক্টার পেশীর আক্ষেপ হতে দেখা যায়।
৩ জ্বর হতে পারে।
৪ মাথা ব্যাথা গায়ে হাত-পা ব্যথা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৫ মলদ্বারে অথবা তার চারপাশে ক্ষত হয় যা সহজে সারতে চায় না।
৬ মলদ্বারের শেষকালে এই ঘা নালি ঘা বা শোথ হতে পারে।
৭ মলত্যাগ কালে মলদ্বারে ব্যাথা হয়।
৮ জ্বালা ও যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
৯ একটানা অথবা থেকে থেকে পূঁজ ও রক্ত নিঃসরণ হতে থাকে।
১০ সেপটিক হয়ে গেলে ক্ষত নিরাময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।

চিকিৎসা

1 আক্রান্ত অংশের ২% মারকিউরোক্রোম লোশন লেগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে তারপরে নিচে যে কোন একটি মলম বাহ্যিক প্রয়োগ করতে হবে কিছুদিন।
Ointment- Pilex (অয়েন্টমেন্ট পাইলেক্স)
প্রতিদিন ২-৩ বার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের লাগাতে হবে ২-৩ সপ্তাহে।
2 বীজাণু সংক্রমণ ঘটলে য়ে কোন একটি বীজাণুনাশক ঔষধ দিতে হবে।
Tab Erythrocin- 500 mg (ট্যাবলেট এরিথ্রোসিন)
১ টি করে দিনে ৩-৪ বার ৫-৭ দিন খেতে হবে।
3 মলত্যাগ যাতে স্বাভাবিক ও সহজসাধ্য হয় তার জন্য দিতে হবে।
Evacuol Granules ( ঈভাকিউল গ্ৰ্যানিউলেস)
২ চামচ করে গরম জলে মিশিয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে হবে।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা

হালকা ও সহজপাচ্য খাদ্য খেতে হবে। সুসিদ্ধ ভাত বিভিন্ন প্রকার ডাল উচ্ছে করলা পটল মূলা ফলের রস কলা বেল সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। মাংস না খাওয়াই ভালো। তেল ঝাল মসলাদার খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। অধিক পরিশ্রম সাইকেল মোটর সাইকেল এবং ঘোড়ার চাপা নিষিদ্ধ।

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...