রোগের বিবরণ
মলদ্বারের এক মুখ বিশিষ্ট নালী ঘা অথবা মলদ্বারের চার ধারে ক্ষত সৃষ্টি হওয়াকে ভগন্দর বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র
প্রৌষ্টিকতন্ত্র ত্বক প্রভৃতি এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সের এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমানভাবে এই রোগ হতে দেখা যায়।
রোগের কারণ
অর্শ রোগে দীর্ঘদিন ভোগা মলদ্বারে ফোঁড়া ও বিভিন্ন কারণে মলদ্বার ফেটে ক্ষত সৃষ্টি এবং তাতে বীজাণু ও সংক্রমণ প্রভৃতি থেকে এই রোগের সৃষ্টি হয়।
রোগের লক্ষণ
১ মলের সঙ্গে ও রক্ত মিশ্রিত পূঁজ নির্গত হয়।
২ মলদ্বারের স্ফিংক্টার পেশীর আক্ষেপ হতে দেখা যায়।
৩ জ্বর হতে পারে।
৪ মাথা ব্যাথা গায়ে হাত-পা ব্যথা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৫ মলদ্বারে অথবা তার চারপাশে ক্ষত হয় যা সহজে সারতে চায় না।
৬ মলদ্বারের শেষকালে এই ঘা নালি ঘা বা শোথ হতে পারে।
৭ মলত্যাগ কালে মলদ্বারে ব্যাথা হয়।
৮ জ্বালা ও যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
৯ একটানা অথবা থেকে থেকে পূঁজ ও রক্ত নিঃসরণ হতে থাকে।
১০ সেপটিক হয়ে গেলে ক্ষত নিরাময় দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে।
চিকিৎসা
1 আক্রান্ত অংশের ২% মারকিউরোক্রোম লোশন লেগিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে তারপরে নিচে যে কোন একটি মলম বাহ্যিক প্রয়োগ করতে হবে কিছুদিন।
Ointment- Pilex (অয়েন্টমেন্ট পাইলেক্স)
প্রতিদিন ২-৩ বার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের লাগাতে হবে ২-৩ সপ্তাহে।
2 বীজাণু সংক্রমণ ঘটলে য়ে কোন একটি বীজাণুনাশক ঔষধ দিতে হবে।
Tab Erythrocin- 500 mg (ট্যাবলেট এরিথ্রোসিন)
১ টি করে দিনে ৩-৪ বার ৫-৭ দিন খেতে হবে।
3 মলত্যাগ যাতে স্বাভাবিক ও সহজসাধ্য হয় তার জন্য দিতে হবে।
Evacuol Granules ( ঈভাকিউল গ্ৰ্যানিউলেস)
২ চামচ করে গরম জলে মিশিয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে হবে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
হালকা ও সহজপাচ্য খাদ্য খেতে হবে। সুসিদ্ধ ভাত বিভিন্ন প্রকার ডাল উচ্ছে করলা পটল মূলা ফলের রস কলা বেল সবুজ শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। মাংস না খাওয়াই ভালো। তেল ঝাল মসলাদার খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। অধিক পরিশ্রম সাইকেল মোটর সাইকেল এবং ঘোড়ার চাপা নিষিদ্ধ।
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
