Flatulence Health And Medicine Trips Bangla ( পেট ফাঁপা রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র বয়স আক্রান্ত লিঙ্গ রোগের কারণ রোগের লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
রোগের বিবরণ
পাকস্থলী বা অন্ত্রে বায়ু সঞ্চয় হয়ে পেট ফুলে ওটাকে পেট ফাঁপা বা Flatulence ( ফ্ল্যাটুলেন্স) বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র
পুস্তিকতন্ত্র এই রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স
এই রোগ যেকোনো বয়সেই হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ
স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ের এই রোগ সমানভাবে হতে দেখা যায়।
রোগের কারণ
অজীর্ণ ও অম্লরোগে ভোগা পায়খানা পরিষ্কার না হওয়া ক্রনিক আমাশয়ে ভোগা আমিষ জাতীয় খাদ্য বেশি খাওয়া অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলা খাওয়া রাত্রি জাগরণ কৃমি রোগে ভোগা প্রকৃতি থেকে পেট ফাঁপা রোগ হয়ে থাকে।
রোগের লক্ষণ
১ সমগ্ৰ পেট উঁচু হয়ে ফুলে ওঠা এমনকি বুকের চেয়েও উঁচু হয়ে যেতে পারে।
২ পেটের আঙ্গুলের টোকা মারলে ঢপ ঢপ শব্দ হয়। এমন কি পেট ভুত ভাট গুড় গুড় শব্দ হতে থাকে।
৩ বুকে চাপ বোধ শ্বাসকষ্ট অস্বস্তি ভাব এবং পাঁজরের নিচে কনকনানি ভাব হতে থাকে।
৪ পাতলা পায়খানা অথবা কষ্ঠ কাঠিন্য হতে পারে।
৫ গা বমি এবং ক্ষুধামন্দ প্রভৃতি হতে দেখা যায়।
৬ বুকে ধড়ফড়ানি মাথা ও কপাল ভারী হওয়া এবং যন্ত্রণা হওয়া প্রভৃতি থাকে।
৭ পেটে খোঁচানো যন্ত্রণা হয়।
৮ গ্যাস ও অন্ত্রের ভিতর দিয়ে চলাচলের অনুভূতি প্রকাশ পায়। মাঝে মাঝে বায়ু সরে।
৯ পেট খুব বেশি ফেঁপে গেলে মল মূত্র ত্যাগে বাধার সৃষ্টি করে।
চিকিৎসা
নিচে যেকোনো একটি বায়ু অপসারণকারি ঔষধ ব্যবহার করতে হবে
Tab Distenil (ট্যাবলেট ডিসটেনিল)
১-২টি করে দিনে ২-৩ বার চিবিয়ে খেতে হবে।
অথবা Nausifar MPS Liquid (নসিফার এম,পি,এস,লিক্যুইড)
২ চামচ করে দিনে ২-৩ বার জল মিশিয়ে খেতে হবে।
অথবা Carmicide Syrup (কারমিসাইড সিরাপ)
২ চামচ করে দিনে ২-৩ বার জল মিশে খেতে হবে।
অথবা Tab Unienzyme MPS (ট্যাবলেট ইউনিএনজাইম)
১-২ টি করে দিনে ২-৩ বার খাবার পর খেতে হবে।
৩ বমি হলে বা গা বমি থাকলে অথবা পেট খুব ফেঁপে গিয়ে মল মূত্র ত্যাগে বাধা সৃষ্টি করলে নিচের ওষুধের ভালো ফল পাওয়া যায়।
Tab Perinorm-10 mg( ট্যাবলেট পেরিনর্ম ১০ মিগ্রা)
১ টি করে দিনে ৩ বার খাবার আগে দিতে হবে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
সরষের তেল বা সাবান জল মিশিয়ে পেটে মালিশ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে জল বেশি পরিমাণে খেতে হবে এবং প্রয়োজনে ইসবগুলের ভুষি মিছরি ভেজানো জলে ফেলে খাওয়া ভালো। ফল মূল শাকসবজি অল্প অল্প খাওয়া ভালো। মশলাদার খাবার এবং মাছ মাংস প্রভৃতি না খাওয়াই ভালো।
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
