Gout Health And Medicine Trips Bangla ( গেঁটে বাত রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র রোগের কারণ রোগের লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা)
রোগের বিবরণ
সন্ধি অস্থি ও চামড়ার নিচে ইউরেট দানা জমার দরুন প্রদাহের সৃষ্টি এবং ক্রমশঃ তা সন্ধি বাতে পরিণত হয় বা পুরঃ পুরঃ অ্যাকিউট আক্রমণ ঘটায়।
আক্রান্ত তন্ত্র
কঙ্কালতন্ত্র অন্তঃক্ষরা তন্ত্র বিপাকতন্ত্র মূত্রযনন্ত্র প্রভৃতি এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ৩০ থেকে ৬০ বছর মধ্যে এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
আক্রমণের লিঙ্গ মহিলাদের তুলনা পুরুষেরা এই রোগ ২০ গুণ বেশি আক্রান্ত হন।
রোগের কারণ
রক্তের ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ দারুনভাবে বেড়ে যাওয়ার লেড পয়জনিং জন্মগত বিপাক ক্রিয়ার ত্রুটি পুষ্টিকতন্ত্রের রোগের দীর্ঘদিন ভোগা পরিশ্রম না করা প্রভৃতি থেকে সন্ধি গুলিতে ইউরেট অব সোডিয়াম সঞ্চিত হয় ফলে এই রোগ হয়।
রোগের লক্ষণ
১ হঠাৎ দেহের সমস্ত ছোট বড় সন্ধিগুলিতে যন্ত্রণা হতে থাকে।
২ পুনরায় আক্রমণ ঘটলে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
৩ চামড়ার উপর ছোট গুটিকা হতে দেখা যায়। এ থেকে ক্রিমের ন্যায় ক্ষরণ হয়।
৪ হাত ও পায়ের আঙ্গুলের গাঁট গুলি ফোলে এবং লালভ হয়।
৫ বড় সন্ধিগুলি ও ফোলে এবং নড়াচড়া করলে ব্যাথা যন্ত্রণা অনুভূত হয়।
৬ দুইদিন থেকে দু সপ্তাহ ব্যাথা যন্ত্রণা চলতে থাকে পরে তা কমে যায়। এবং কিছুদিন পর পুনরায় আক্রমণ ঘটে।
৭ জ্বর শীতভাব হাত-পা ঝিম ঝিম করা প্রভৃতি হতে থাকে।
৮ কিডনিতে পাথর হতে পারে।
চিকিৎসা
1 অ্যাকিউট অবস্থায় যেকোনো একটি ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
Tab Algesin (ট্যাবলেট অ্যালজেসিন)
১ টি করে দিনে ২ বার খাবার পর খেতে হবে ৫ দিন।
অথবা Ointment Dolomed (অয়েন্টমেন্ট ডলোমেড)
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার আক্রান্ত অংশে মালিশ করতে হবে।
2ক্রনিক রোগের চিকিৎসা নিম্নরূপ হবে।
Tab Allgoric 100 mg (ট্যাবলেট অ্যালগোরিক ১০০ মিগ্ৰা)
১ টি করে দিনে ২-৩ বার যতদিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ ঠান্ডা লাগানো নিষিদ্ধ। আক্রান্ত অংশগুলিতে গরম সেঁক দেওয়া ভালো।
২ সমুদ্র স্নান ভালো ফল দেয়।
৩ শস্যদানা ডিম মিষ্টি রুটি স্যালিসাইলেট জাতীয় ঔষধ প্রভৃতি নিষিদ্ধ।
৪ ফ্যাট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। মাছ মাংস মাদকদ্রব্য প্রভৃতি কম খেতে হবে।
৫ মূত্রকারক ( Diuretics) ঔষধ ব্যবহার নিষিদ্ধ।
৬ পাতলা দুধ ফলের রস মধু চারা মাছ খাওয়া ভালো।
৭ গরম উষ্ণ পানির কড়া চা ও গাঁদাল পাতায় রস একত্রে বীট গাজর প্রভৃতি খাওয়া চলবে।
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
