সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Hernia Health And Medicine Trips Bangla (অন্ত্রবৃদ্ধি রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র রোগের কারণ রোগের লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা)

 

রোগের বিবরণ

পেটের নারী অর্থাৎ তন্ত্র অন্ত্রবরক ঝিল্লিসহ বা ঝিল্লি ভেদ করে যদি কুঁচকির ছিদ্র পথে বা অগুকোষে নেমে যায় তাহলে ঐ অংশে প্রদাহ হতে থাকে এবং এই আবদ্ধ অবস্থায় বেশি দিন থাকলে পচন সুরু হতে পারে। ফলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। একেই হার্নিয়া(Hernia) বা অন্ত্র বৃদ্ধি বলে। অনেক সময় অন্ত্র আপনা আপনি স্বস্থানে ফিরে আসে ফলে ব্যাথা যন্ত্রণা হতে হতে হঠাৎ ভালো হয়ে যায় একে ( Re Ducible Hernia) বলা হয়। আর যদি আপনাআপনি না ফিরে এসে আবদ্ধ হয়ে থাকে ফলে ব্যাথা যন্ত্রণা চলতেই থাকে একে বলে (Obstructed Hernia) বলে এতে চাপ বৃদ্ধি পেতে রক্ত চলাচলের ব্যাঘাতের ফলে অন্ত্রে পচন সৃষ্টি হয়। একে (Strangulated Hernia) বলে।

আক্রান্ত তন্ত্র

পৌষ্টিকতন্ত্র ত্বক প্রভৃতি এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স বয়স্কদেরই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
আক্রান্ত লিঙ্গ পুরুষেরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। মহিলারা খুবই কমই আক্রান্ত হয়।

রোগের কারণ

পেটে আঘাত লাগা ভারোত্তলন কোষ্ঠকাঠিন্য হেতু মলত্যাগ কালে অধিক কোঁথ  দেওয়া অতিরিক্ত পরিশ্রম করা অতিরিক্ত হাঁচি  বা কাশি হওয়া জোরে  চিৎকার  করা প্রভৃতি এই রোগের  সৃষ্টি হয়।

রোগের লক্ষণ

১ জ্বর হতে পারে।
২ অন্ত্র যে অংশে নেমে আসে সেই অংশ ফুলে ওঠে।
৩ এবং হাত দিয়ে চাপলে তা অনুভব করা যায়।
৪ পেট ফোলা পেটে ব্যাথা  হতে পারে।
৫ নাভির চারিপাশে সেঁটে ধরার ন্যায় যন্ত্রণা হতে থাকে।
৬ পেটে প্রচন্ড যন্ত্রণা এবং গা বমি বা বমি হয়।
৭ অত্যধিক যন্ত্রণা হলে রোগীর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
৮ হেঁচকি হতে পারে।

চিকিৎসা

আক্রমণের প্রথম অবস্থায় রোগীকে মাতা নিচের দিকে রেখে চিৎ করে শোয়াতে  হবে। পা উঁচু করে তুলে ধরতে অন্ত্র নেমে স্বস্থানে ফিরে আসতে পারে। যদি অন্ত্র স্বস্থানে  ফিরে আসে তাহলে ঐ অবস্থায় পেটে চেপে বেঁধে দিতে হবে। তাহলে পুনরায় অন্ত্র বৃদ্ধি ঘটে না। কিন্তু Obstructed বা Strangulated হার্নিয়া হলে শীঘ্র অস্ত্রোপাচার করাই ভালো।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা

আক্রমণ অবস্থায় ব্যথা জায়গায় গরম জল অথবা বরফ দ্বারা মালিশ করা ভালো। হালকা ও পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। কোমরের বেল্ট বাঁধলে অনেকটা সুফল পাওয়া যায়।

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 


এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...