ইহা একটি স্টেরয়েডবিহীন ব্যাথা যন্ত্রণানাশক ঔষধ। ইহার সামান্য জ্বর নিবারণকারী ক্ষমতা বিদ্যমান। ইহা পুষ্টিকতন্ত্র থেকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। ইহা গ্রহণের ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে রক্তসরে সর্বোচ্চ মাত্রায় উপস্থিত হয়। ইহা যকৃতে পাচিত হয় এবং মূত্রপদে নির্গম হয়। এই ঔষধ প্রোপাইওনিক অ্যাসিডের ডেরিভেটিভ অর্থাৎ বংশোদ্ভুত।
ব্যবহার
অস্থিসন্ধির প্রদাহ প্রদাহজদনিত সন্ধিবাত মেরুদণ্ড বাত কটি বাত ঘাড়ের বাত দূর্ঘটনারজনিত আঘাত মচকানো ব্যাথা যন্ত্রণা অস্ত্রপাচারজনিত প্রদাহ দাঁতের সর্বপ্রকার প্রদাহ কানের প্রদাহ সাইনাসের প্রদাহ টনসিলের প্রদাহ পেলভিক প্রদাহ মাথার যন্ত্রণা সহ মানব দের সকল প্রকার প্রদাহে ব্যবহার করা হয়।
মাত্রা
বয়স্কদের সাধারণত প্রদাহের ২০০- ৪০০ মিগ্ৰা দিনে ৩ বার ব্যবহার করা হয়। মারাত্মক প্রদাহে ৬০০ মিগ্ৰা দিতে দিনে ৩ বার দেওয়া যায়। অ্যাকিউট ইনফ্ল্যামেশনে ১-২ টি ট্যাবলেট প্রয়োজন অনুযায়ী দেওয়া হয়।
শিশুদের সিরাপ ঔষধ বয়সানুযায়ী ১ থেকে ২ চামচ করে দেওয়া যায়। বড়দের ১ থেকে ২ টি ট্যাবলেট দেওয়া যায়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
অম্ল পেট ফাঁপা বমি ভাব লিভারের গগুগোল অন্ত্রে বা পাকস্থলীতে প্রদাহ বা ক্ষতের সৃষ্টি চর্মে উদ্ভেদ শোথ রক্তে
থ্রম্বোসাইট কমে যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
আন্তঃবিক্রিয়া
অ্যাসপিরিন ফিনাইটোইন মেথোট্রেক্সেট সালফোনামাইড
প্রোবেনেসিড প্রভৃতির সঙ্গে আন্তঃবিক্রিয়া ঘটে ফলে বিভিন্ন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সাবধানতা
পাকস্থলী বা ডিওডেনামের ক্ষত রক্তবমন অ্যাজমা ব্রস্কাইটিস প্রভৃতি রোগের ব্যবহার নিষিদ্ধ। গর্ভবতী মহিলা ও স্তন্যদানকারী মাতাদের খুব সাবধানতাসহ অল্প মাত্রায় দেওয়া যেতে পারে। এই ওষুধ সর্বদা কিছু খাবার পর খেতে হবে।
ঔষধের ব্রান্ডনেম
Alflam, Ibuflamar, Ibugesic, ইত্যাদি
******এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
