সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Infertility Health And Medicine Trips Bangla (বন্ধ্যাত্ব রোগের বিবরণ আক্রান্ত তন্ত্র রোগের কারণ রোগের লক্ষণ রোগ নির্ণয় চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা)

 

রোগের বিবরণ

গর্ভধারণ না হওয়াকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। নারীর সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা থাকে না একথা ভুল। সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা সকল নারীরই আছে। তবে জননতন্ত্রের বিভিন্ন ত্রুটি অথবা পুরুষের জননতন্ত্রের কোন একটি ত্রুটি থাকার ফলেই সন্তান উৎপাদনে বাধার সৃষ্টি হয়।

আক্রান্ত তন্ত্র

জননতন্ত্রের ও অন্তঃক্ষরা তন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এই রোগ হয় তবে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যেই বেশি ঘটতে দেখা যায়।
আক্রান্ত লিঙ্গ এই রোগ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের কারণেই ঘটে তবে মহিলাদের ত্রুটি থেকেই বন্ধ্যাত্ব বেশি হতে দেখা যায়।

রোগের কারণ

নারীর জরায়ুর দুর্বলতা বা গঠনগত ত্রুটি থাকা। যার ফলে শুক্রাণু  দ্বারা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ু গাত্রে প্রোথিত হতে পারে না। ডিম্বাশয়ের রোগ থাকা যার জন্য পরিপূর্ণ ডিম্বাণু নিঃসরণ হয় না। ফলে আদৌ নিষেক ই ঘটে না। হর্মোনের ক্ষরণের স্বল্পতা অথবা আধিক্য হেতু নিষেক না হওয়া বা নিষিক্ত ডিম্বাণুর ধ্বংসপ্রাপ্তি ঘটা যৌনপথ অতিরিক্ত আম্লিক থাকা যার ফলে শুক্রাণুর গরমকালে ধ্বংসপ্রাপ্তি ঘটে যৌন দুর্বলতার দরুন মিলনে অচিচ্ছ থাকা রতিজরোগ থাকায় দরুণ যোনি বা জরায়ুমধ্যে জীবাণু সংক্রমণ থাকা জরায়ু মুখের চাপ বেশি থাকায় শুক্রাণু প্রবেশে বাধাদান রক্তশূন্যতার ভোগা প্রভৃতি কারণে বন্ধ্যাত্বের সৃষ্টি হয়।
পুরুষের ক্ষেত্রে ধ্বজভঙ্গ বা Impotency রোগে ভোগা রতিজ রোগে ভোগা বীর্য গর্ভবতী হয় না। এর সাথে রক্তশূন্যতা মেদ-বৃদ্ধি স্তনের বিবৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়।

রোগ নির্ণয়

১ পুরুষের বীর্যের ল্যাবরেটরী অ্যানালিসিস করলে কোন ত্রুটি আছে কিনা জানতে পারা যায়।
২ নারীর জননতন্ত্রের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করলে কোন ত্রুটি আছে কিনা জানা যাবে।
৩ স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের রক্ত VDRL পরীক্ষা করলে কোন রমিজ রোগ আছে কিনা জানাতে পারা যাবে।
৪ রক্তের TSH FSH LH প্রভৃতি পরীক্ষা করলে হরমোনের গোলযোগ জনিত কারণ থাকলে তা ধরা পড়ে।

চিকিৎসা

1 পুরুষের বীর্যে শুক্রকীট কম থাকলে বা তা সবল না হলে নিচের ঔষধ খাওয়াতে হবে।
Tab Fertyl- M (ট্যাবলেট ফার্টিল এম)
2 নারীর ক্ষেত্রে ঋতুর গোলযোগ থাকলে তার চিকিৎসা সর্বপ্রথম করতে হবে। এছাড়া রক্তল্পতা জরায়ুর দুর্বলতা প্রভৃতি থাকলে নিচের যেকোনো একটি ঔষধ দিতে হবে।
Cheri Syrup (চেরি সিরাপ)
২ চামচ করে দিনে ২ বার খাবার পর খেতে হবে ১-২ মাস।
অথবা Hemfer Tonic (হেমফার টনিক)
২ চামচ করে দিনে ২ বার খাবার পর খেতে হবে ১-২ মাস।

3 যদি পরীক্ষা করে দেখা যায় নারী Anovulation অর্থাৎ ডিম্বক্ষরণ না হওয়ার রোগে ভুগছেন তাহলে নিচের ঔষধ খাওয়াতে হবে।
Tab Ovofar 50 mg (ট্যাবলেট ওভোফার ৫০ মিগ্ৰা)
১ টি করে ঋতুচক্রের ৫ম দিন থেকে শুরু করে ৫ দিন খেতে হবে।
4  নারীর যোনিনালী এবং জরায়ুগ্ৰীবা অর্থাৎ যৌন মিলনের সময় যে অংশে বীর্যপাত হয় সেই অংশ যদি অত্যাধিক আম্লিক(Acidic) হয় তাহলে বীর্যেস্থ শুক্রকীট ঐ স্থানে মারা পড়ে ফলে ডিম্বাণুর সাথে মিশতে পারে না এবং নিষেক (Fertilization) হওয়ার সম্ভাবনা নষ্ট হয়।
তাই এই ক্ষেত্রে ঋতুচক্রর  ৭ম দিবস থেকে ১০/১২ দিন যৌনমিলনের ঘটার ১ ঘন্টার পূর্বে নারীর যৌনপথ এবং জরায়ু মুখে ক্ষারকির (Alkaline) বস্তুর ডুস দিতে হবে। এর ফলে ঐ অংশে অম্লীকভাব নষ্ট হবে বা হ্রাস পাবে। এর এইভাবে মিলন ঘটতে বীর্যস্থ শুক্রকীট মারা পড়বে না।তার সবল অবস্থায় দ্রুত গতিতে জরায়ুতে এসে পৌঁছাবে এবং ডিম্বাণুর সাথে মিলিত হয়ে জরায়ুর গাত্রে প্রোথিত হবে। ডুস দেওয়ার জন্য সোডিয়াম বাই কার্বোনেট ব্যাবহার করা যাবে।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা 

এই ধরনের রোগিনীদের আঁকাড়া চাল যাঁতা ভাঙ্গা আটা মাছ মাংস ডিম দুধ সয়াবিন  ও সয়াবিনের তেল বীট  গাজর টমেটো পালং শাক কলা  নারকেল পাকা আম পেঁপে প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া ভালো। 
দুশ্চিন্তা পরিত্যাগ করতে হবে। মন প্রফুল্ল রাখতে হবে এবং
সুনিদ্রার ব্যবস্থা করতে হবে। যৌন মিলনের উভয়ের ইচ্ছা এবং পূর্ণ উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়া দরকার।

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...