সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Omeprazole 20mg Capsule Health And Medicine Trips Bangla ( ওমেপ্রাজোল ২০মিগ্ৰা ব্যবহার মাত্রা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাবধানতা ওষুধের ব্যান্ডনেম


ইহা একটি নতুন শ্রেণীর পৌষ্টিকতন্ত্রের ক্ষত নিবারনকারী ঔষধ। ইহা অ্যান্টাসিড বা হাইড্রোজেন গ্ৰাহী( H2- receptar) গ্রুপের ঔষধ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। ইহা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অর্থাৎ ইহা যাবতীয় আন্ত্রিকরসের অতিরিক্ত ক্ষরণে বাধা দান করে এবং স্বাভাবিকক্ষরণ হতে সাহায্য করে, ফলে ক্ষত নিরামন বা প্রতিরোধ সহজ হয়। এই ঔষধ পুষ্টিকতন্ত্র থেকে দ্রুত শোষিত হয় এবং পাচনের পর ৮০ শতাংশ মূত্র পথে নির্গত  হয়। বাকী অংশ মলের সাথে নির্গত হয়। এই ঔষধ ২ সপ্তাহের মধ্যে ক্ষত নিরাময় করতে এবং পাকস্থলীর রসক্ষরণকে স্বাভাবিক করতে সমর্থ হয়।

ব্যবহার

ডিওডেনামের ক্ষত পাকস্থলীর ক্ষত অন্ননালীর ক্ষত বা প্রদাহ জোলিনজার এলিশন সিনড্রোম ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

মাত্রা

ডিওডেনামের ক্ষতে ২০ মিগ্ৰা ক্যাপসুল প্রত্যহ সকালে খালি পেটে ১ টি করে ১ মাস খেতে হবে। পাকস্থলীর ক্ষতে ২০ থেকে ৪০ মিগ্রা দিনে ১ বার সকালে খালি পেটে ২ মাস খেতে হবে।  অন্ননালীর প্রদাহে ২০ মিগ্রা দিনে ১ বার থেকে ১ মাস খেতে হবে। জোলিনজার এলিশন সিনড্রোম ৬০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার সকালে খালি পেটে কয়েকমাস  খেতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

গা বমি বা বমি মাথার যন্ত্রণা উদয়রাম কোষ্ঠকাঠিন্য পেট ফাঁপা চর্মে উদ্ভেদ মুখের শুস্কতা ভাব ঝিমানিভাব পেটে ব্যাথা ও প্রভৃতি হতে পারে।

আন্তঃবিক্রিয়া

ডায়াজিপাম, ওয়ারফ্যারিন,ফিনাইটোইন,অ্যামিনোফাইলিন,ট্রাপসিন,
কাইমোট্রিপসিন প্রভৃতির সঙ্গে আন্তঃবিক্রিয়া ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া  হতে দেখা যায় এবং ওমেপ্রাজোলের  কর্মক্ষমতা কমে যায়।

সাবধানতা

গর্ভবতী মহিলা স্তন্যদানকারী মাতা এবং সকল বয়সের শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ। পাকস্থলী ক্যান্সার রোগের এই ঔষধ ব্যবহার নিষিদ্ধ‌। কিডনির রোগ এবং যকৃতের রোগ থাকলে এই ঔষধ ব্যবহার করা চলবে না।

ওষুধের ব্র্যান্ডনেম

Omez,Omepraz,Ome,Omebloc,Omezol,Omepren, ইত্যাদি

******এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 



এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...