রোগের বিবরণ
শ্বাসনালী ও ক্লোমশাখা অর্থাৎ শ্বাসনালী গাছ তে সামান্য অধিক পরিমাণে অপরাধ হেতু অত্যধিক শ্বাসকষ্ট হওয়ার এবং বায়ু চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাই হল হাঁপানি।
আক্রান্ত তন্ত্র
ফুসফুসে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
বংশগত প্রভাব এই রোগ বংশগত ভাবে হয়ে থাকে। অবশ্য প্রত্যেকের যে বংশগত তাহা নহে।
আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সে এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ শিশুদের মধ্যে বালকরা অধিক আক্রান্ত হয়। কৈশোর কালে মহিলা ও পুরুষ সমান হারে এই রোগ হয়। বৃদ্ধদের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে বেশি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
রোগের কারণ
অ্যালার্জি ঘটিত কারণ যেমন বাতাসবাহিত পরাগ বাড়ির ধূলো ধাতব অ্যালার্জি প্রাণীর গায়ের ধূলো বা খুস্কি থেকে অ্যালার্জি পশু পক্ষীর পালক থেকে অ্যালার্জি বস্ত প্রভৃতি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসে যায়। এর থেকে হাঁপানি হতে পারে। এছাড়া ধূমপান ভাইরাস সংক্রমণ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খাদ্য বহানালীর আক্ষেপ রক্তে ঈওসিনোফিল বৃদ্ধি ফুসফুসের পেশীর ইমিউনো গ্লোবিউলিন এর অভাব প্রভৃতি থেকে হাঁপানি হতে পারে।ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের হাঁপানিকে ব্রঙ্কিয়াল অ্যজমা বলে।
রোগের লক্ষণ
হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। কাশি গলায় ও বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হয় রোগীর প্রচন্ডভাবে হাঁপাতে শুরু করে। শুয়ে থাকলে কষ্ট হয়। রোগীর সর্বদা সামনে ঝুঁকে বসতে চায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের খুব ধীরে চলে এবং তার শব্দের প্রতিধ্বনি হয়। নাড়ী এলোমেলো হয়। রোগীর নিলবর্ণ ধারণ করে। হৃদপিন্ডে গতি বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি ঘটে।
প্রথম প্রথম ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে হাঁপানি কমে যায় তবে রোগ যত দিন পুরানো হয়। তত ঘন ঘন আক্রান্ত এবং দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে। এক টানা হাঁপানি চলতে থাকলে তাকে অবস্থা হাঁপানি বলা হয়। ক্রনিক হয়ে গেলে প্রায় সবসময় কম বেশি হাঁপানি চলতেই থাকে। হাঁপানি রোগীর বৃদ্ধি ও ব্যাপক হয় না। এদের বুকের খাঁচা সাধারণতঃ চ্যাপ্টা আকৃতির হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
আক্রমণের প্রথম অবস্থায় জটিলতা প্রকাশ পেলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে পাঠাতে হবে প্রয়োজনের দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাঁপানি রোগী চিকিৎসা বাড়িতে হলে রোগীকে আরাম কেদারা বা অন্যান্য কোন জায়গায় হেলান দিয়ে শোয়াতে হবে। এতে শ্বাসকষ্ট কম হয়। রোগীকে সর্বদা গরম খাদ্য ও পানীয় দিতে হবে। একটু সুস্থ হলে রোগীকে মুক্ত বাতাসে ঘিরে ফিরে বেড়াতে হবে। হালকা ব্যায়াম অনেক সময় হাঁপানি থেকে মুক্তি দেয়। খাদ্যবস্ত হালকা ও সহজ পাচ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। মাছ মাংস ও অঙ্গুরীমাল জাতীয় খাদ্য বর্জন করাই ভালো। হাঁপানি রোগীর রক্তে ঈওসিনোফিল বাড়লে তার চিকিৎসা করতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
