সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Asthma Symptoms Use In Bangali হাঁপানি রোগের টিপস



রোগের বিবরণ 

শ্বাসনালী ও ক্লোমশাখা অর্থাৎ শ্বাসনালী গাছ তে সামান্য অধিক পরিমাণে অপরাধ হেতু অত্যধিক শ্বাসকষ্ট হওয়ার এবং বায়ু চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাই হল হাঁপানি।

আক্রান্ত তন্ত্র

ফুসফুসে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
বংশগত প্রভাব এই রোগ বংশগত ভাবে হয়ে থাকে। অবশ্য প্রত্যেকের যে বংশগত তাহা নহে।
আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সে এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ শিশুদের মধ্যে বালকরা অধিক আক্রান্ত হয়। কৈশোর কালে মহিলা ও পুরুষ সমান হারে এই রোগ হয়। বৃদ্ধদের মধ্যে মহিলাদের মধ্যে বেশি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

রোগের কারণ

অ্যালার্জি ঘটিত কারণ যেমন বাতাসবাহিত পরাগ বাড়ির ধূলো ধাতব অ্যালার্জি প্রাণীর গায়ের ধূলো বা খুস্কি থেকে  অ্যালার্জি পশু পক্ষীর পালক থেকে অ্যালার্জি বস্ত প্রভৃতি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সময় ফুসফুসে যায়। এর থেকে হাঁপানি হতে পারে। এছাড়া ধূমপান ভাইরাস সংক্রমণ ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খাদ্য বহানালীর আক্ষেপ রক্তে ঈওসিনোফিল বৃদ্ধি ফুসফুসের পেশীর ইমিউনো গ্লোবিউলিন এর অভাব প্রভৃতি থেকে হাঁপানি হতে পারে।ব্রঙ্কাইটিস রোগীদের হাঁপানিকে ব্রঙ্কিয়াল অ্যজমা বলে।

রোগের লক্ষণ

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। কাশি গলায় ও বুকে সাঁই সাঁই শব্দ হয় রোগীর প্রচন্ডভাবে হাঁপাতে শুরু করে। শুয়ে থাকলে কষ্ট হয়। ‌রোগীর সর্বদা সামনে ঝুঁকে বসতে চায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের খুব ধীরে চলে এবং তার শব্দের প্রতিধ্বনি হয়। নাড়ী এলোমেলো হয়। রোগীর নিলবর্ণ ধারণ করে। হৃদপিন্ডে গতি বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি ঘটে।
 প্রথম প্রথম ১ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে হাঁপানি কমে যায় তবে রোগ যত দিন পুরানো হয়। তত ঘন ঘন আক্রান্ত এবং দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে। এক টানা হাঁপানি চলতে থাকলে তাকে অবস্থা  হাঁপানি বলা হয়। ক্রনিক হয়ে গেলে প্রায় সবসময় কম বেশি হাঁপানি চলতেই থাকে। হাঁপানি রোগীর বৃদ্ধি ও ব্যাপক হয় না। এদের বুকের খাঁচা সাধারণতঃ চ্যাপ্টা আকৃতির হয়।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা

আক্রমণের প্রথম অবস্থায় জটিলতা প্রকাশ পেলে রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে পাঠাতে হবে প্রয়োজনের দ্রুত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে।

হাঁপানি রোগী চিকিৎসা বাড়িতে হলে রোগীকে আরাম কেদারা বা অন্যান্য কোন জায়গায় হেলান দিয়ে শোয়াতে হবে‌। এতে শ্বাসকষ্ট কম হয়। রোগীকে সর্বদা গরম খাদ্য ও পানীয় দিতে হবে। একটু সুস্থ হলে রোগীকে মুক্ত বাতাসে ঘিরে ফিরে বেড়াতে হবে। হালকা ব্যায়াম অনেক সময় হাঁপানি থেকে মুক্তি দেয়। খাদ্যবস্ত হালকা ও সহজ পাচ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। মাছ মাংস ও অঙ্গুরীমাল জাতীয় খাদ্য বর্জন করাই ভালো। হাঁপানি রোগীর রক্তে ঈওসিনোফিল বাড়লে তার চিকিৎসা করতে হবে।

এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...