Cervical Spondylosis Disease Description Disease Symptoms Adjunctive Treatment ঘাড়ের বাত রোগের বিবরণ রোগের কারণ লক্ষণ চিকিৎসা আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
রোগের বিবরণ
Cervical vertebra অর্থাৎ গ্ৰীবাদেশীয় কশেরুকার অপকর্ষ জনিত পরিবর্তন এবং ঐ অংশের চাকরিতে কন্টকযুক্ত বস্তুর গঠন যা পরিবর্তনকালে সংকীর্ণ গ্ৰীবাদেশীয় নালীসমূহের স্নায়ু উপাদানের আঘাত করে ফলে সমস্ত গ্ৰীবাদেশে আড়ষ্টভাব বা প্রদাহের সৃষ্টি হয় একেই Cervical Spondylosis বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র পেশী কলঙ্ক তন্ত্র এবং স্নায়ু তন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ৪০ বছরের ঊর্ধ্বেই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। তবে তার নিচেও হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরাই এই রোগ অধিক আক্রান্ত হন।
রোগের লক্ষণ
১ গলার সামনে ঝোকানো সম্ভব হয় না।
২ স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হলে মাথা ঘোরা হয়।
৩ মাথা ঝিমঝিম করে কান ভোঁ ভোঁ করে প্রভৃতি হতে পারে।
৪ দৃষ্টি শক্তির ক্ষীণতর প্রভৃতি হতে পারে।
৫ ঘাড়ের পিছনে দিকে ব্যাথা যন্ত্রনা হতে পারে।
৬ ক্রমশ এই যন্ত্রণা স্ক্যাপুলা ও বাহুতে বিস্তার লাভ করে।
৭ ঘাড়ের ব্যাথা নাও থাকতে পারে।
৮ ঘাড় নড়াতে বা ঘোরাতে প্রচন্ড কষ্ট হয়।
৯ সর্বাঙ্গে আড়ষ্ট ব্যাথা হতে পারে।
রোগের কারণ
চাকতি মধ্যের ফাঁকা স্থানের দূরত্ব কমে যাওয়া।ঠান্ডা লাগা উঁচু বালিশে শয়ন মাথায় অধিকক্ষণ হেলমেট ব্যবহার সুষুম্না রজ্জুতে রক্ত সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অভাবে অধিক সময় যান বাহন চালানো প্রভৃতি থেকে এই রোগ হতে পারে।
চিকিৎসা
1 যেকোনো একটি যন্ত্রণা নাশোক ঔষধ দিতে হবে।
Tablet Voveran sr (ট্যাবলেট ভোভেরান এস আর)
১ টি করে দিনে ১ থেকে ২ বার খাবার পর খেতে হবে ৫ থেকে ৭ দিন
অথবা Tablets Nise 100 mg (ট্যাবলেট নাইস ১০০ মিগ্ৰা)
১ টি করে দিনে ১ থেকে ২ বার খাবার পর খেতে হবে ৫ থেকে ৭ দিন
2 ঘাড়ে মালিশ করার জন্য যেকোনো একটি ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
Naprosyc gel (ন্যাপ্রোসিন জেল)
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার আক্রান্ত অংশে লাগাতে হবে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ ব্যায়ামাই হলো এই রোগের সর্বোচ্চ ভালো চিকিৎসা।
২ হালকা সহজপাচ্য খাদ্য খাওয়া একান্ত জরুরী।
৩ প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী কলার বা ট্রাকশন ব্যবহার করা দরকার।
৪ শক্ত চেয়ারে সোজা হয়ে বসতে হবে।
৫ পড়াশোনা সোজা ভাবে বসেই করতে হবে।
৬ ঠান্ডা লাগানো নিষিদ্ধ।
৭ গরম জলে স্নান করা খুবই উপকারী।
৮ পাতলা বালিশের বা বালিশ বিহীন বিছানায় শ্রেয়।
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
