ইহা পেনিসিলিয়ামের সংয়োগসাধনে প্রস্তুত করা হয়। এই ঔষধ সকল প্রকার গ্ৰাম পজেটিভ বীজানুদের উপর সক্রিয়। এমনকি যে সমস্ত বীজাণু অন্যান্য বীজাণু নাশক ঔষধ দ্বারা প্রতিরোধী দ্বারাও এই ঔষধ ধ্বংস হবে। এই ঔষধ খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে অথবা ২ ঘন্টা পরে খেলে সর্বাপেক্ষা অধিক পরিমাণে পাকস্থলী থেকে শোষিত হয় এবং ৪ ঘন্টা যাবৎ রক্তদাসে উপস্থিত হয় থাকে। ইহা দেহের সকল কলা কোষের সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ক্লক্সাসিলিন ভাইরাস ছত্রাক পর জীবিদের উপর সক্রিয় হয়।
ব্যবহার
শ্বাসযন্ত্রের সব রকম রোগ এবং নাক কান ও গলার রোগ বা অন্য বীজাণু নাশক ঔষধে সারেনি অস্থি ও সন্ধান রোগ চর্মরোগ ও ক্ষত মূত্র যন্ত্রের পীড়া স্নায়ু তন্ত্রের বিভিন্ন বীজাণু সংক্রমণজনিত রোগ বিভিন্ন প্রকার স্ত্রীরোগ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয়। অস্ত্রোপ্রচারে জনিত বীজাণু সংক্রমণ স্তনের সংক্রমণ পোড়া রোগীর সংক্রামণ সদ্যোজাত শিশুর বিভিন্ন সংক্রমণ প্রভৃতিতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চর্মে উদ্ভিদ পেটের গন্ডগোল মলত্যাগের সামান্য নিউট্রোপেনিয়া অ্যাগ্ৰানুলোসাইটোসিস নিউরোটাক্সিসিটি প্রভৃতি হতে দেখা যায়। মারাত্মক প্রতিক্রিয়া খুব কমই হয়।
আন্তঃবিক্রিয়া
ফ্লোরামফেনিকল টেট্রাসাইক্লিন সালফোনামাইড প্রভৃতির সঙ্গে আন্তঃবিক্রিয়া ফলে কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পায়।
সাবধানতা
পেনিসিলিয়ামে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহার করা চলবে না। হাঁপানি প্রবল জ্বর প্রকৃতিতে ব্যবহার না করাই ভালো। শিশুদের জন্ডিস বা অন্যান্য লিভারের রোগ থাকলে ব্যবহার না করাই ভালো। গর্ভবতীর মহিলা এবং স্তন্য দানকারীদের উচ্চ মাত্রায় ব্যবহার নিষিদ্ধ।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
