ইহা স্বাদহীন গন্ধহীন সাদা স্ফটিকাকার বস্তু। ইহা গ্ৰাম পজিটিভ কক্কাস এবং ব্যাসিলাসদের উপর অধিক সক্রিয়। ইহা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়ী স্ট্রেপটোকক্কাস পাইয়োজিনের ক্লসট্টিডিয়াম করিনি ব্যাকটেরিয়া ডিপথেরিয়া লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেস প্রভৃতির ওপর অধিক সক্রিয়। তাছাড়া হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা
এরিথ্রোমাইসিন দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে পুষ্টিকতন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে থাকে। খাদ্য গ্রহণের সাথে এই শোষণের কোন সম্পর্ক থাকে না। ইহা গ্ৰহণের ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তরসের সর্বোচ্চ মাত্রায় উপস্থিত হয়। ইহা শরীরের সকল কলাকোষে এবং তরল অংশের ছড়িয়ে পড়ে কেবলমাত্র মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্কের সুষুম্নারস ব্যতীত। ইহা যকৃতে এবং প্লীহাতে দীর্ঘ সময় ব্যাপী স্থায়ী হয়। ইহা 2% থেকে ৫% মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়। ইয়া যকৃতে বেশি পৌঁছায় এবং পিত্তের মাধ্যমে নির্গত হয়।
ব্যবহার
ব্রঙ্কাইটিস নিউমোনিয়া সহ সকল প্রকার শ্বাসযন্ত্রের পীড়া ফ্যারিংজাইটিস ল্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস সাইনুসাইটিস সহ সকল প্রকার নাক ও গলার রোগ কর্ণ প্রদাহ কানে পূঁজ দাঁতের সকল প্রকার সংক্রমণ মাড়িতে ফোঁড়া শিশুদের হুপিং কাশি চর্মের সকল প্রকার সংক্রমণ যেমন ফোঁড়া ক্ষত কার্বাঙ্কল ঈরিসিপেলাস সিফিলিস গণোরিয়া স্যাঙ্কার প্রভৃতি রতিজ ব্যাধি হৃদঝিল্লীর প্রদাহ ডিপথেরিয়া অ্যামিবিক আমাশয় প্রভৃতির ব্যবহার করা হয়।
মাত্রা
সাধারণ সংক্রমণের ২৫০ মিগ্ৰা করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার দিতে হয়। মারাত্মক সংক্রমণের ৫০০ মিগ্ৰা দিনে ৪ বার দেওয়া হয়। গণোরিয়াতে ৫০০ মিগ্ৰা ট্যাবলেট ৪ টি একত্রে একবার ৭ দিন খেতে দেওয়া হয়। সিফিলিস রোগীকে ৫০০ মিগ্ৰা ট্যাবলেট ২ টি করে দিনে ২ বার ১০ দিন দিতে পারা যায়। গর্ভাবস্থায় গণোরিয়া বা সিফিলিস হলে ২৫০ মিগ্ৰা দিনে ৪ বার কমপক্ষে ১৪ দিন দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ১ মাস পর্যন্ত ঔষধ চালানো যাবে।
শিশুদের ৩০ থেকে ৫০ মিগ্ৰা ও কিলোগ্রাম দেহের ওজন সারা দিনে ৪ বারে ভাগ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ৬ মাসের নিচের শিশুদের ড্রপ ঔষধ ১০ থেকে ২০ ফোঁটা দিনে ৩ থেকে ৪ বার দেওয়া যাবে। ৬ মাস হইতে ৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের ১২৫ মিলি সিরাপ ১ চামচ করে দিনে ৪ বার দেওয়া যায়।৪ বছরের উদ্ধার শিশুদের ২৫০ মাগ্ৰা ট্যাবলেট বা সিরাপ ১ টি বা ১ চামচ করে দিনে ২ থেকে ৩ দেওয়া হয়। এই চিকিৎসার ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত চালাতে হয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এরিথ্রোমাইসিন ঔষধের পেটের গন্ডগোল হাতেই বেশি দেখা যায়। বমি ভাব বমি উদরাময় পেটের কামড়ানি ভাব প্রভৃতি হতে পারে বিশেষতঃ এরিথ্রোমাইসিন স্টিয়ারেটে এরিথ্রোমাইসিন এস্টোলেটে তত অসুবিধা হয় না। এ ছাড়া আম্বাত চর্মে উদ্ভিদ জ্বর ভাব ইওসিনোফিলিয়া প্রভৃতি দেখা যেতে পারে। দীর্ঘদিন এই ঔষধ খেলে লিভারের গন্ডগোল দেখা যায় বা বৃদ্ধি পায়।
আন্তঃবিক্রিয়া
থিওফাইলিন কার্বামাজেপিন সাইক্লোস্পোরিন ফিনাইটোসিন টারফেনাডিন লোভাস্ট্যাটিন ডাইসোপাইরামাইড ওয়ারফেরিন ডাইজক্সিন প্রভৃতির সঙ্গে একসাথে ব্যবহার করলে আন্তঃবিক্রিয়া হয় ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।
সাবধানতা
হেপাটাইটিস সহ সকল প্রকার যকৃতের রোগের এরিথ্রো মাইসিন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কোলাইটিস রোগের ব্যবহার করা চলবে না। এই ঔষধ স্তনদুগ্ধের মাধ্যমে নির্গত হয় তাই স্তন্যদানকারী মাতা কে ও দেওয়া ঠিক নয়। গর্ভবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো।প্রয়োজনে অল্পমাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
ঔষধের ব্র্যান্ডনেম
E- Mycin Erythrocin ইত্যাদি
এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।