সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Erythromycin Tablets 500 mg Dosage Use In Bangali এরিথ্রোমাইসিন 500 ডোজ

 


ইহা স্বাদহীন গন্ধহীন সাদা স্ফটিকাকার বস্তু। ইহা গ্ৰাম পজিটিভ কক্কাস এবং ব্যাসিলাসদের উপর অধিক সক্রিয়। ইহা স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়ী স্ট্রেপটোকক্কাস পাইয়োজিনের ক্লসট্টিডিয়াম করিনি ব্যাকটেরিয়া ডিপথেরিয়া লিস্টেরিয়া মনোসাইটোজিনেস প্রভৃতির ওপর অধিক সক্রিয়। তাছাড়া হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা

এরিথ্রোমাইসিন দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে পুষ্টিকতন্ত্র থেকে শোষিত হয়ে থাকে। খাদ্য গ্রহণের সাথে এই শোষণের কোন সম্পর্ক থাকে না। ইহা গ্ৰহণের ২ ঘণ্টার মধ্যে রক্তরসের সর্বোচ্চ মাত্রায় উপস্থিত হয়। ইহা শরীরের সকল কলাকোষে এবং তরল অংশের ছড়িয়ে পড়ে কেবলমাত্র মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্কের সুষুম্নারস ব্যতীত। ইহা যকৃতে এবং প্লীহাতে দীর্ঘ সময় ব্যাপী স্থায়ী হয়। ইহা 2% থেকে ৫% মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়। ইয়া যকৃতে বেশি পৌঁছায় এবং পিত্তের মাধ্যমে নির্গত হয়।

ব্যবহার

ব্রঙ্কাইটিস নিউমোনিয়া সহ সকল প্রকার শ্বাসযন্ত্রের পীড়া ফ্যারিংজাইটিস ল্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস সাইনুসাইটিস সহ সকল প্রকার নাক ও গলার রোগ কর্ণ প্রদাহ কানে পূঁজ দাঁতের সকল প্রকার সংক্রমণ মাড়িতে ফোঁড়া শিশুদের হুপিং কাশি চর্মের সকল প্রকার সংক্রমণ যেমন ফোঁড়া ক্ষত কার্বাঙ্কল ঈরিসিপেলাস সিফিলিস গণোরিয়া স্যাঙ্কার প্রভৃতি রতিজ ব্যাধি হৃদঝিল্লীর প্রদাহ ডিপথেরিয়া অ্যামিবিক আমাশয় প্রভৃতির ব্যবহার করা হয়।

মাত্রা

সাধারণ সংক্রমণের ২৫০ মিগ্ৰা করে দিনে ৩ থেকে ৪ বার দিতে হয়। মারাত্মক সংক্রমণের ৫০০ মিগ্ৰা দিনে ৪ বার দেওয়া হয়। গণোরিয়াতে ৫০০ মিগ্ৰা ট্যাবলেট ৪ টি একত্রে একবার ৭ দিন খেতে দেওয়া হয়। সিফিলিস রোগীকে ৫০০ মিগ্ৰা ট্যাবলেট ২ টি করে দিনে ২ বার ১০ দিন দিতে পারা যায়। গর্ভাবস্থায় গণোরিয়া বা সিফিলিস হলে ২৫০ মিগ্ৰা দিনে ৪ বার কমপক্ষে ১৪ দিন দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে ১ মাস পর্যন্ত ঔষধ চালানো যাবে।

শিশুদের ৩০ থেকে ৫০ মিগ্ৰা ও কিলোগ্রাম দেহের ওজন সারা দিনে ৪ বারে ভাগ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ ৬ মাসের নিচের শিশুদের ড্রপ ঔষধ ১০ থেকে ২০ ফোঁটা দিনে ৩ থেকে ৪ বার দেওয়া যাবে। ৬ মাস হইতে ৪ বছর পর্যন্ত শিশুদের ১২৫ মিলি সিরাপ ১ চামচ করে দিনে ৪ বার দেওয়া যায়।৪ বছরের উদ্ধার শিশুদের ২৫০ মাগ্ৰা ট্যাবলেট বা সিরাপ ১ টি বা ১ চামচ করে দিনে ২ থেকে ৩ দেওয়া হয়। এই চিকিৎসার ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত চালাতে হয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এরিথ্রোমাইসিন ঔষধের পেটের গন্ডগোল হাতেই বেশি দেখা যায়। বমি ভাব বমি উদরাময় পেটের কামড়ানি ভাব প্রভৃতি হতে পারে বিশেষতঃ এরিথ্রোমাইসিন স্টিয়ারেটে এরিথ্রোমাইসিন এস্টোলেটে তত অসুবিধা হয় না। এ ছাড়া আম্বাত চর্মে উদ্ভিদ জ্বর ভাব ইওসিনোফিলিয়া প্রভৃতি দেখা যেতে পারে। দীর্ঘদিন এই ঔষধ খেলে লিভারের গন্ডগোল দেখা যায় বা বৃদ্ধি পায়।

আন্তঃবিক্রিয়া

থিওফাইলিন কার্বামাজেপিন সাইক্লোস্পোরিন ফিনাইটোসিন টারফেনাডিন লোভাস্ট্যাটিন ডাইসোপাইরামাইড ওয়ারফেরিন ডাইজক্সিন প্রভৃতির সঙ্গে একসাথে ব্যবহার করলে আন্তঃবিক্রিয়া হয় ফলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।

সাবধানতা

হেপাটাইটিস সহ সকল প্রকার যকৃতের রোগের এরিথ্রো মাইসিন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কোলাইটিস রোগের ব্যবহার করা চলবে না। এই ঔষধ স্তনদুগ্ধের মাধ্যমে নির্গত হয় তাই স্তন্যদানকারী মাতা কে ও দেওয়া ঠিক নয়। গর্ভবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া ব্যবহার না করাই ভালো।প্রয়োজনে অল্পমাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।

ঔষধের ব্র্যান্ডনেম

E- Mycin Erythrocin ইত্যাদি


এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...