সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Lansoprazole Capsules 30 Mg Use In Bangali ল্যানসোপ্রাজল 30 মিলিগ্রাম

 

ইহা একটি পৌষ্টিক তন্ত্রের ক্ষত নিরাময়কারী। ইহা পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড ও অন্যান্য রসের ক্ষরণে বাধা দেয় এবং তাদের ক্ষরণ স্বাভাবিক করে। এই ঔষধ দ্ধারা পৌষ্টিক তন্ত্রের ক্ষতের নিরাময় ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ সম্ভব। এই ঔষধ ওমেপ্রাজোলের চেয়ে আরও কম সময়ে ক্ষত নিরাময় করে। ওমেপ্রাজোল গ্যাস্ট্রিক পেন ১১ দিনের মুক্ত করে সেখানে ল্যানসোপ্রাজোল ৬ দিনের রোগীকে বেদনা মুক্ত করে। যে সকল রোগীর পাকস্থলী  ক্ষত বা ডিওডেনামের ক্ষতে অন্নানালীর প্রদাহ এবং জোলিনজার এলিশন সিনড্রোম র‍্যা্যানিটিডিন বা ফ্যামোটিডিনে  নিরাময় হয়নি বা পুনরাক্রমণে ঘটছে তাঁদের ল্যানসোপ্রাজোন খুব ভালো কাজ দেয়। এই ঔষধ পাকস্থলী থেকে দ্রুত এবং প্রায় সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। গ্ৰহনের ১½থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে ইহা রক্তরসের সর্বোচ্চ মাত্রা উপস্থিত হয়।পাচিত অংশে মূত্রপথের এবং মলের সাথে নির্গত হয়।

ব্যবহার

ডিওডেনামের ক্ষতে পাকস্থলীর ক্ষতে অন্নবহানালীর ক্ষত জোলিনজার এলিশন সিনড্রোম পুরোনো ক্ষতরোগ অন্যান্য অ্যান্টিআলসার দ্ধারা চিকিৎসিত ও পুনরাক্রান্ত ক্ষত ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।

মাত্রা

ডিওডেনামের ক্ষতে ৩০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার সকালে খালি পেটে ১ মাস দিতে হবে। পাকস্থলী ক্ষতে ৩০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার সকালে খালি পেটে ২ মাস খেতে হবে। অন্নানালির প্রদাহ ৩০ মিগ্রা দিনে ১ বার খালি পেটে ২ থেকে ৩ মাস। অন্যান্য ঔষধের দ্বারা চিকিৎসিত এবং পুনরাক্রান্ত ক্ষতে ৩০ মিগ্রা ২ টি ক্যাপসুল একত্রে সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ মাস খেতে হবে। জোলিনজার এলিশন সিনড্রোম ২থেকে৩ টি ক্যাপসুল একত্রে দিনে ২ বার অর্থাৎ ৪ থেকে ৬ টি ক্যাপসুল ১২০ থেকে ১৮০ মিগ্ৰা দেওয়া যাবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

উদরাময় বমি ভাব পেটে ব্যথা কোষ্ঠ বদ্ধতা মাথা ধরা ঝিমুনি ভাব ক্লান্তি ঘুম ভাব নাক থেকে তরল সর্দির স্রাব কাশি গলায় ব্যাথা চর্মে উদ্ভিদের দুশ্চিন্তা পেশীর ব্যাথা পুরুষদের রতিশাক্তির হ্রাসপ্রাপ্তি প্রভৃতি হতে পারে।

আন্তঃবিক্রিয়া

প্রোপ্রানোলল ওয়ারফ্যারিন প্রেডনিসলোন ফিনাইটোইন থিওফাইলিন এথিনিল এস্ট্রাডিওল লেভোনরজেন্ট্রল প্রভৃতির সঙ্গে আন্তরিকরা ফলে কার্যক্ষমতা হ্রাস প্রাপ্তি ঘটে এবং বিভিন্ন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।

সাধারণত

গর্ভাবস্থায় এই ঔষধ ব্যবহার নিষিদ্ধ।স্তন্যদানকারী মাতা এবং সকল বয়সের শিশুদের এই ঔষধ ব্যবহার নিষিদ্ধ। পাকস্থলীর বা অন্ত্রের যে কোন অংশের ক্যানসার রোগ থাকলে এই ঔষধ ব্যবহার করা চলবে না।

ঔষধের ব্র্যান্ডনেম

Lan এবং Lanzol ইত্যাদি 

এই আর্টিকাল পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত। 

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...