শ্বাস ও প্রশ্বাস সম্বন্ধে প্রথম অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। এখন তাদের গতি সম্বন্ধে বলা হচ্ছে। শ্বাস প্রশ্বাসের গতি রোগীর পেট বুক দেখা বা চেপে অনুভব করা প্রভৃতির মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়। এই গতি ও নাড়ীর গতি ন্যায় বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন হয়।
যেমন জন্ম থেকে ১ বছর বয়সের শিশুদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি মিনিটের ৩০ বারের ওপর বেশি হয়।তদূদ্ধর ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি মিনিটে ২০ থেকে ২৫ বার হয়।
৫ বছরের ঊর্ধ্বে ১২ বছর পর্যন্ত শিশুদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি হবে মিনিটে ২০ বার।
১২ বছরের উদ্ধের বয়স্কদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি হবে মিনিটে ১৮ বার। বুদ্ধদের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি খুব কম হয় অর্থাৎ তা হবে মিনিটে ১৫ থেকে ১৬ বার। নির্দিষ্ট বয়সের শ্বাস প্রশ্বাসের গতি স্বাভাবিকের বেশি হলে তা রোগ লক্ষণ ও নির্দেশ করে।
অবশ্য পরিশ্রমের পর পানাহারের পর উত্তেজিত হলে শ্বাস প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পায়। এটা কোন রোগ লক্ষণ নয়। ঘুমানোর সময় এবং বিশ্রামের সময় এই গতি কম হয় সেটাও কোন অসুবিধা জনক নয়।
শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পায় জ্বর হলে হাঁপানি ফুসফুসে রোগ বোগা জ্বর বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি থেকে।
শরীরের তাপমাত্রা ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি ও নাড়ীর গতি মধ্যে একটি সম্বন্ধ আছে সেটি হলো। ৪ বার নাড়ী ও স্পন্দিত হলে ১ বার শ্বাস প্রশ্বাসের বহে। জ্বর বাড়লে নাড়ীর স্পন্দন বাড়ে ও শ্বাস প্রশ্বাসের গতি ও বাড়ে। যদি জ্বর ১০২° হয় তাহলে নাড়ীর স্পন্দন ১০৮ থেকে ১২০ বার হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের গতি ২৭ থেকে ৩০ বার হয়
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত
