সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

How To Use Terfenadine Tablets Use in Bangali টারফেনাডিন ব্যবহার করার নিয়ম

 

ইহা একটি দ্রুত ক্রিয়াশীল হাইড্রোজেন গ্ৰাহী গ্ৰুপের রয়াসন যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। এই ঔষধের কোন আচ্ছন্নভাব থাকে না। সেই সকল পরিস্থিতিতে টাযফেনাডিন ব্যবহার করা যাবে। অন্যান্য ঔষধের সাথে আন্তঃবিক্রিয়ার কম হয় বলে এই ঔষধ সকল রোগীদের ব্যবহার করা সহজ‌। এই ঔষধ পৌষ্টিক তন্ত্র থেকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। এবং তার লিভার অর্থাৎ যকৃত পাচিত হয়। ইহা গ্ৰহণের ১ থেকে ১½ ঘণ্টার মধ্যে কলা কোষের ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এই ঔষধ ১২ ঘণ্টার যাবৎ কর্মক্ষম থাকে। এই ঔষধের পাচিত অংশের ৬০ শতাংশের উপর মল মাধ্যমে এবং ৩৮ শতাংশের উপর মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়।

ব্যবহার

অ্যালার্জি ঘটিত নাসিকা স্রাব নাসিকা প্রদাহ হাঁচি চক্ষুর লালাভ ভাব জ্বালা অশ্রুস্রাব অ্যালার্জি ঘটিত চর্মরোগ যথা  আমবাত একজিমা সংস্পর্শ জনিত চর্মরোগ প্রুরিটাস প্রভৃতি অ্যালার্জি ঘটিত শ্বাসযন্ত্রের পীড়া কীট পতঙ্গের কামড় খাদ্যবস্তু ঔষধ বা প্রসাধনদ্রব্য থেকে সৃষ্টি চর্মের প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

এই ঔষধে খুব কমই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়। অল্প সংখ্যক রোগীর মৃদু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ঘটে তবে তার জন্য ঔষধ বন্ধ করে দেয়া কোন প্রয়োজন নেই। নিদ্রা ভাব ও ঝিমুনি ভাব মনোযোগের অভাব বমি ভাব বা বমি পেটে অস্বস্তি ভাব মলত্যাগের স্বাভাবিক অভ্যাসের গোলযোগ যকৃতের গোলমাল চুল উঠে যাওয়া চর্মে উদ্ভিদ প্রভৃতি হতে পারে। মুখের শুষ্কতা থাকতে পারে।

আন্তঃবিক্রিয়া

কেটোকোনাজোল এরিথ্রোমাইসিন রক্সিথ্রোমাইসিন অ্যাজিথ্রোমাইসিন লিনকোমাইসিন প্রভৃতির সঙ্গে আন্তঃবিক্রিয়া হয়। ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।

সাবধানতা

গর্ভবতী মহিলাদের প্রয়োজন বোধে ব্যবহার করা যাবে। ৩  বছরের নিচের শিশুদের ব্যবহার করা চলবে না। স্তন্যদান কারী মাতাদের এই ঔষধ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। যকৃতের রোগের হৃদপিণ্ডর রোগে এবং কিডনির রোগে এই ঔষধ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।

ঔষধের ব্র্যান্ডনেম

Terfed বা terfenadine Tablets ইত্যাদি 

এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকম সিদ্ধান্ত আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...