জিহ্বা পরীক্ষার মাধ্যমে বহু রোগ সম্বন্ধ ধারণা করা যায়। পরিষ্কার ও কোমল জিহ্বা সুস্থ দেহের পরিচালক। যেমন জ্বর পাকস্থলীর রোগ প্রভৃতি জিভ লাল হয়।
যকৃতের রোগ যেমন যেমন সিরোসিস বা জন্ডিস প্রকৃতির জিহ্বা হলুদ ভাব দেখায়। শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাঘাত ঘটালে জিভ নীলচে হবে। জিভ সাদা আস্তরণ পড়লে বুঝতে হবে পরে পেটের গন্ডগোল গরহজম অপুষ্টি প্রভৃতি ঘটেছে। জিভ কালচে ভাব হওয়া মানে কোন বীজাণু সংক্রামণ জনিত রোগ হয়েছে বুঝতে হবে। লিভারের রোগ খুব বেড়ে গেলে জিভ কালচে ভাব হয়।
জিভে যদি পাতলা আবরণ পড়ে এবং কিনারা বরাবর লালভ ও খসখসে ভাব থাকে। তাহলে টাইফয়েড জ্বর বলে অনুমান করা হয়।
জিভের উপর ধূসর বর্ণের ময়লা ভাব জমে থাকলে পেটের রোগ কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন রোগের নির্দেশ পাওয়া যায়।
জিভ একেবারে শুষ্ক ভাব হয়ে গেলে স্নায়ু গটিত পীড়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। ফ্যাকাসে রংয়ের জিভ রক্তশূন্যতার লক্ষণ প্রকাশ করে। ডিহাইড্রেশন হলে জিভ শুকনো এবং ফ্যাকাসে ভাব দেখায়।
জিভে ঘা বা উদ্ভিদ দেখা দিলে অপুষ্টি জনিত রোগব্যাধি আছে বলে সন্দেহ করা হয়। জিভের কিনারা বরাবর মসৃণ এবং এবং স্যাঁতস্যাতেঁ ভাব রোগের প্রকোপ কমে আসে বললে ধরা হয়।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ নেয়া উচিত।
