রোগের বিবরণ
মানুষের অন্ত্র বিশেষ ধরনের প্রোটোজোয়া সংক্রমণের ফলে পাতলা পায়খানা। মলের সাথে মিউকাস নিঃসরণ যকৃতের ক্ষত প্রভৃতি ঘটে একেই অ্যামিবায়সিক বা অ্যামিবাঘটিত আমাশয় বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র কেবলমাত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স এই রোগ সকল বয়সেরই সমান ভাবে হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ের এই রোগ হয়। তবে পুরুষেরাই অধিক আক্রান্ত হন।
রোগের কারণ
গরম আবহাওয়ায় বসবাস। বর্ষাকালে পানির জল রোগ জীবাণুর দ্বারা দূষিত হওয়া খাদ্যবস্তু বিশেষতঃ বাগানের সবজিতে জীবাণু থাকা বাসি পচা বা আঢাকা খাবার খাওয়া প্রভৃতির মাধ্যমে এই রোগের জীবাণুর মানুষের অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং সেখানে বংশ বিস্তার করে রোগের সৃষ্টি করে।
রোগের লক্ষণ
এন্টামিবা হিস্টোলাইটিকা নামক পরজীবী এই রোগ ঘটায়।
১ প্রথমে কোথানি সহ পাতলা মলত্যাগ শুরু হয়।
২ ক্রমশঃ পাতলা মলের পরিবর্তে কেবল মাত্র শ্লেষ্মাবৎ আম যুক্ত মল বের হয়।
৩ গা বমি ভাব থাকে।
৪ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়।
৫ দীর্ঘক্ষণ বসে পায়খানা করা।
৬ যেন মনে হয় এখনো পায়খানা হবে কিন্তু কিছুই হয় না।
৭ মলের দুর্গন্ধ বের হয়।
৮ সোঁদা সোঁদা গন্ধ হয়।
৯ বারংবার মলত্যাগের ইচ্ছা কিন্তু সামান্য পরিমাণে মল বের হয়।
১০ নাভির চারিদিকে প্রচন্ড কামড়ানি ব্যাথা থাকে।
১১ মলদ্বারে জালা ও যন্ত্রণা হয়।
১২ কুন্থন দারুণভাবে হতে থাকে কিন্তু মূল সামান্য পরিমাণে বের হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
সুসিদ্ধ ভাত এবং কাঁচা কলা ও থানকুনি পাতা ঝোল এই রোগীর পক্ষে খুব উপকারী। গাঁদাল পাতার ঝোল ও এই রোগীদের পক্ষে ভালো। কাঁচা বেল ঘোল দই ছাগলের দুধ প্রভৃতি খাওয়া ভালো।মিছরির সরবৎ মাছ মাংস ভাজা খাবার ঝাল মশলাদার খাবার মাদক দ্রব্য তামাক প্রভৃতি নিষিদ্ধ।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
