রোগের বিবরণ
ভার্মিফর্ম অ্যাপেন্ডিক্স অর্থাৎ উপ অঙ্গ প্রদাহিত হওয়াকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ১৮ বছর উদ্ধের যে কোন মানুষের এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পুরুষেরা মহিলাদের চেয়ে দেড়গুণ অধিক আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উদ্ধের পুরুষ ও মহিলাদের সমান হারে এই রোগ হয়।
রোগের কারণ
উপাঙ্গের খোলা মুখ দিয়ে পাচিত খাদ্যবস্তুর কণা মল মাছের কাঁটা খাদ্যবস্তুর সাথে যাওয়া ধুলো বা বালির কণা প্রভৃতি প্রবেশ করলে তা আর সহজে বের হয় না। ফলে সেখানে পচে গিয়ে বীজাণুর সংক্রমণ ঘটে থাকে। ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। অজীর্ণ আমাশয় কোষ্ঠকাঠিন্য ভূগলে অন্ত্রের কৃমি থাকলে এই রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
১ ক্ষুধা মন্দা হতে দেখা যায়।
২ রোগাক্রমণের পর ১থেকে২ মাস অন্তর অন্তর যন্ত্রণা হওয়া বা অন্যান্য জটিলতা হতে দেখা যায়।
৩ নাড়ীর গতি বৃদ্ধি পায়। মিনিটে ১০৮ থেকে ১২০ বার পর্যন্ত হতে দেখা যায়।
৪ জ্বর হয় ১০৩⁰ পর্যন্ত।
৫ গা বমি ভাব বমি হতে পারে।
৬ বমি হওয়ার পর যন্ত্রণা হ্রাস ঘটে পরে আবার বৃদ্ধি পায়।
৭ ২ থেকে ৩ দিন দারুণভাবে যন্ত্রণা হয়। তারপর যন্ত্রণা কমে গিয়ে কেবলমাত্র ব্যাথা থাকে।
৮ প্রচন্ড যন্ত্রণার কারণে এই সময় রোগী কুঁজো হয়ে হাঁটতে চায়।
৯ প্রস্রাবর জ্বালা যন্ত্রণা থাকতে পারে।
১০ রোগের প্রথম অবস্থায় অবশ্যই সঠিকভাবে যন্ত্রণার স্থান নির্ণয় করা যায় না।
১১ পরে যখন রোগ লক্ষণ প্রকট হয় তখন যন্ত্রণার স্থান নির্বাচন ও রোগ নির্ণয় সহজ হয়।
১২ ডান দিকের পেটের একেবারে নিচের অংশের তীব্র যন্ত্রণা হতে থাকে।
১৩ সারা পেট যন্ত্রণা হতে থাকে ক্রমশঃ তা একটি নির্দিষ্ট অংশ স্থির হয়।
চিকিৎসা
Tablets Drotin ট্যাবলেট ড্রোটিন
১ টি করে দিনে ২ থেকে ৩ বার প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে হবে।
অথবা Tablets Cyclopam ট্যাবলেট সাইক্লোপ্যাম
১ টি করে দিনে ২ থেকে ৩ বার প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে হবে।
একটি বীজাণু নাশক ঔষধ দিতে হবে
Tablets Cifran 500 Mg ট্যাবলেট সিফরান ৫০০মিগ্ৰা
১ টি করে দিনে ২ বার ৫ দিন দিতে হবে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
২ পেটের গরম সেঁক দিলে যন্ত্রণা উপশম হয়।
৩ সাগু বালির হরলিক্স কমপ্লান সুসিদ্ধ ভাত মশলাবিহীন ঝোল প্রভৃতি খেতে দিতে হবে।
৪ অস্ত্রোপ্রচারের পর ৬ মাস বিশ্রামে নিতে হবে।
৫ এই সময় হালকা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমে সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
