রোগের বিবরণ
খাদ্যনালীর নিম্ন প্রান্তের ভিতরের দিকের ত্বকের যে কোন কোষের উৎকট ধরনের বৃদ্ধি এবং তার ফলে পার্শ্ব বর্তী টিস্যু সমূহে তার প্রভাব পড়া এবং আরও পরে এই রোগ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়াকে খাদ্যনালী কার্সি নোমা বা কর্কটরোগ বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এই রোগ বেশি হয়। ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে ও এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরা এই রোগে আড়াই গুণ বেশি আক্রান্ত হয়।
রোগের কারণ
সঠিক কারণ অজানা। ধূমপান মদ্যপান খাদ্যনালির প্রদাহে দীর্ঘদিন ভোগা এবং তা থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া প্রভৃতি থেকে এই রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
১ হাতের আঙুলের নখের গোড়ায় দিকের স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট হয়ে যায়।
২ খাদ্যনালির অবরোধ ঘটতে পারে।
৩ খাদ্য বস্তুর পাকস্থলীতে পৌঁছাতে পারে না।
৪ দ্রুত শরীরের ওজন কমে যায়।
৫ খাদ্য গিলে খাবার পর তা যখন খাদ্যনালির বরাবর নামে তখন অত্যধিক কষ্ট হওয়া।
৬ যা একটানা চলতেই থাকে ইহা এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
৭ ঢেকুরের সাথে খাবার উগরিয়ে আসতে পারে।
৮ রাত্রে মুখে জল উঠতে পারে।
৯ কন্ঠাস্থির উপরিস্থ লসিকা গ্রন্থির স্ফীতি লক্ষ্য করা যায়।
১০ হেঁচকি কাশি গলার স্বর বসে যাওয়া প্রভৃতি হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
এই ধরনের রোগীকে হালকা ও সহজ পাচ্য তরল খাদ্য খাওয়াতে হবে।
খেতে কোন রকম কষ্ট হলে নলের মাধ্যমে খাওয়ানো ব্যবস্থা করতে হবে।
কঠিন বা অর্ধশক্ত খাবার না খেতে দেওয়াই ভালো।
অত্যধিক ঠান্ডা বা অত্যধিক গরম খাদ্য খেতে না দেওয়াই ভালো।
মদ্যপান ও তামাকুসেবন প্রভৃতি পুরোপুরি বর্জন করতে হবে।
যদি পাকস্থলী ঠিক সময় মত পরিষ্কার না হয় অর্থাৎ খাদ্যবস্তু সময় মত ডিওডেনামে প্রবেশ না করে।
তাহলে বিভিন্ন উপসর্গ যেমন খাদ্যনালির প্রদান বা জ্বালা আক্রান্ত অংশে চাপ সৃষ্টি বা অ্যাসিড উঠে এসে প্রদাহ সৃষ্টি ঘটাতে পারে।
তাহলে ওমেপ্রাজোল ২০ মিগ্ৰা। মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
