রোগের বিবরণ
পাকস্থলীর ভিতরে গাত্রের মিউকাস মেমব্রেন অথবা সমস্ত পাকস্থলীর গাত্রের যন্ত্রণাকে গ্যাসট্রাইটিস বা পাকস্থলিক প্রদাহ বলে।
আক্রান্ত তন্ত্র কেবলমাত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগে দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সে এই রোগ হতে পারে তবে ৩০ বছরের উদ্ধেরই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমানভাবে এই রোগ হতে দেখা যায়।
রোগের কারণ
অম্লাধিক্য বাইল অর্থাৎ পিত্তরসের আধিক্য হেতু পাকস্থলী গহ্বরে প্রবেশ প্যানক্রিয়েটিক এনজাইম অর্থাৎ অগ্ন্যাশয় নিঃসৃত উৎসেচকের আধিক্য হেতু পাকস্থলী গহ্বরে প্রবেশ অত্যধিক অ্যালকোহল সেবন ব্যাথা যন্ত্রণার ট্যাবলেট সেবন ঝাঁঝাল খাদ্য বস্তু সেবন প্রভৃতি থেকে মিউকাস মেমব্রেন ক্ষয় ও প্রাপ্ত হয় এবং প্রদাহিত হতে থাকে। এছাড়া খাদ্য দুষ্টি স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াম বা অন্যান্য বীজাণুদূষণ ভাইরাস সংক্রমন পারনিসিয়াম অ্যানিমিয়া প্রভৃতি থেকেও পাকস্থলীর প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
রোগের লক্ষণ
১ ক্ষুধা মন্দা হয়।
২ বমি ভাব বা বমি থাকে।
৩ পেট ফাঁপা থাকে।
৪ বাম দিকের উপরে পেট এবং মাঝ বরাবর খোঁচানো ব্যাথা যন্ত্রণা শুরু হয়।
৫ ঐ অংশে চাপ দিলে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে।
৬ গলা বুকের জ্বালা থাকতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
গ্যাস্ট্রাইটিসের রোগীকে সর্বদা হালকা ও সহজপাচ্য খাদ্য খেতে দিতে হবে। পেট কোন সময় খালি রাখা কিংবা একেবারে প্রচুর পরিমাণে খেলে নেওয়া কোনটাই চলবে না। ছোলা মটর ভেজানো দই মাখন দুধ হাফ বয়েল ডিম ঝোল ভাত চারাপোনার ঝোল প্রভৃতি খাওয়া ভালো। অ্যালকোহল ঝাঁঝালো কোল্ডড্রিংক্স মাংস ঝাল মসলাদার খাবার খাবার সোডা ব্যাথা যন্ত্রণা ট্যাবলেট প্রভৃতি খাওয়া নিষিদ্ধ। হালকা ব্যায়াম ও প্রাতঃভ্রমন উপকারী। পৌষ্টিকতন্ত্র অন্য কোন রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোনরকমে সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
