রোগের বিবরণ
পাকস্থলীর ভিতরের বস্তুর খাদ্যনালীর বরাবর পশ্চাৎ গামিতা সহ জ্বালা যন্ত্রণাকে রিফ্লাক্স এসোফৎআগাইটিস বা খাদ্যনালির প্রদান বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র কেবলমাত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগ আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সে এই রোগ হতে পারে তবে শিশুদের কম হয় বয়স্কদের এই রোগ বেশি হয়।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ সমান হারে এই রোগ হতে দেখা যায়।
রোগের কারণ
পাকস্থলীতে অত্যধিক অ্যাসিড ক্ষরণ হয়ে তা খাদ্যনালীতে উঠে যায়। ফলে জ্বালা যন্ত্রণা হতে থাকে। এছাড়া উপর পেটে বায়ু সঞ্চয় হয়ে খাদ্যনালীতে চাপ সৃষ্টি হওয়া হায়টাস হার্নিয়া অথবা অর্থাৎ মধ্য চ্ছদা পেশীর দুর্বলতা বশতঃ পেটের যে কোনো নালী ওপর দিয়ে উঠে আসে এবং প্রদাহ হয়। এর কারণে ও খাদ্যনালীর প্রদাহ হতে পারে। এছাড়া অত্যধিক ঝাল মসলা খাওয়া মদ্যপান তামাকু সেবন প্রভৃতি থেকেও এই রোগ হতে পারে। নিম্ন খাদ্যনালির স্ফিংটার পেশীর অনিয়মতা হেতুও এই রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
১ বুকে কনকনানি যন্ত্রণা এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
২ শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি পায়।
৩ ঢেকুরের সাথে খাদ্যবস্তু মুখে উঠে আসতে পারে।
৪ ঢোক গিলতে এবং খাবার গিলে খেতে কষ্ট হয়।
৫ এমনকি খাদ্য বস্তু খাদ্যনালীতে পড়ার পর খাদ্যনালী বরাবর ব্যাথা লাগা জ্বালা হওয়া প্রভৃতি ঘটে
৬ গলা ও বুকের মধ্যস্থল বরাবর জ্বালা এই রোগের প্রধান লক্ষণ।
৭ গা বমি ও ক্ষুধামন্দ প্রভৃতি থাকতে পারে।
৮ কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
প্রথম অবস্থায় তরল খাদ্য দিতে হবে। রোগের লক্ষণ হ্রাস পেলে ঝোল ভাত দেওয়া যাবে।
ঝাল মশলাদার খাবার মাংস ডিম খুব কম খেতে হবে।
মধ্যপান তামাকু সেবন নিষিদ্ধ।
ব্যাথা যন্ত্রণা যে কোন ঔষধ খাওয়া নিষিদ্ধ।
অ্যাকিউট অবস্থায় রোগীকে অদ্ধরশায়িত অবস্থায় রাখলে প্রদাহের উপশম।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
