ইহা একটি যক্ষ্মা বীজাণু নাশক ঔষধ। ইহা মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম বীজাণু দের ধ্বংস করতে সক্ষমাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কুলোসিস মাইকো ব্যাকটেরিয়াম লেপ্রী সহ কিছু কিছু গ্ৰাম পজিটিভ ও গ্ৰাম নেগেটিভ বীজানণুদের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এই ঔষধ পৌষ্টিকতন্ত্র থেকে দ্রুত এবং সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। গ্ৰহনের ২ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে ইহা রক্তরসে সর্বোচ্চ মাত্রায় উপস্থিত হয়। ইহা শরীরের সকল কলাকোষের এবং তরল অংশের ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। ৩০শতাংশ ঔষধ প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়।
ব্যবহার
যক্ষ্মারোগে অন্যান্য ওষুধের সাথে ব্যবহার করা হয়।কুষ্ঠ রোগে অন্যান্য ওষুধের সাথে ব্যবহার করা হয়। এই ঔষধ ফুসফুসীয় যক্ষ্মা হাড়ের যক্ষ্মা ত্বকের ক্ষয়রোগ আন্ত্রিক যক্ষ্মা অন্ত্রের যক্ষ্মা প্রভৃতি ভালো হয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
চর্মে উদ্ভেদ ক্ষয় ভাব বমি ভাব বা বমি হেপাটাইটিস জন্ডিস শীত ভাব পেশীর বেদনা প্রভৃতি লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রস্রাব পায়খানা কফ লাল প্রভৃতি লাল বর্ণ ধারণ করে।
আন্তঃবিক্রিয়া
অ্যাসিটামাইনোফের অ্যালকোহল ডেক্সামেমাসোন স্টোমে থাসোন প্রেডনিসলোন ড্যাপসোন কুইনিডিন প্রভৃতির সঙ্গে আন্তঃবিক্রিয়া ঘটে ফলে কর্ম ক্ষমতা কমে যায় এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে দেখা যায়।
সাবধানতা
গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদানকারী মাতাদের জরুরী প্রয়োজনে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যবহার করতে হবে। যকৃৎ রোগে ভুগলে সেই সকল রোগীদের অবশ্যই লিভারের জন্য ঔষধের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কিছুদিন অন্তর লিভার ফাংশন টেস্ট করতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমে সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
