বিবরণ
বিভিন্ন কারণে কোলন অর্থাৎ সিকাম ও রেকটামের মধ্যবর্তী বৃহদান্ত্রের অংশের ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে তা প্রদাহিত হতে থাকে এবং বিভিন্ন উপসর্গের সৃষ্টি করে একেই আলসারেটিভ কোলাইটিস বলা হয়।
পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়।
আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলা এবং পুরুষ উভয়ের সমান হারে এই রোগ হতে দেখা যায়।
শতকরা ১০ থেকে ১২ জন রোগীর মধ্যে বংশগত কারণ থাকে।
রোগের কারণ
সঠিক কারণ অজানা। তবে এটি কোন বীজাণু সংক্রমণ জনিত রোগ নয়। মল পরীক্ষা বা আক্রান্ত অংশের পরীক্ষার কোন বীজাণুর সন্ধান পাওয়া যায় না। বংশগত কারণ ও মানসিক কারণ অত্যধিক ঔষধ যেসব প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বলতা হওয়ার প্রভৃতি থেকে এই রোগ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়।
লক্ষণ
১ পাতলা পায়খানা দারুন ভাবে বাড়তে থাকে।
২ এমনকি ডিহাইড্রেশন পর্যন্ত হতে পারে।
৩ জ্বর হতে পারে।
৪ সন্ধির বেদনা হতে থাকে।
৫ মুখ মন্ডলের ক্ষত হতে পারে।
৬ লিভার অর্থাৎ যকৃতের গোলমাল থাকতে পারে।
৭ ট্রাভেলার্স ডায়েরিয়া হতে পারে।
৮ সারা পেট ব্যাথা যন্ত্রণা হতে পারে।
৯ বিশেষ করে মলত্যাগ কালে তলপেটে অস্বস্তিভাব ও যন্ত্রণা হতে থাকে।
১০ মলদ্বারে মলাশয় প্রভৃতি অংশে প্রদাহ মলত্যাগ কালের জ্বালা-যন্ত্রণা প্রভৃতি হতে থাকে।
আনুষঙ্গিক উপকারী
১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
২ নিরামিষ খাদ্য খাওয়াই ভালো।
৩ সুসিদ্ধ শাকসব্জি আলু কলা অন্যান্য ফলমূল প্রভৃতি খাওয়া চলবে।
৪ ডিম খাওয়া চলবে।
৫ দুধ কিছুদিন বন্ধ করে রাখতে হবে।
৬ তেল ঝাল মসলা প্রভৃতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
৭ ব্যাথা যন্ত্রণার ঔষধ উচ্চ মাত্রায় বীজাণু নাশক ঔষধ খাওয়া নিষিদ্ধ।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
