বিবরণ
এক বিশেষ ধরনের জীবাণু বৃহদান্ত্র অর্থাৎ বৃহদন্ত্র কে আক্রমণ করে ফলে মলের সাথে রক্ত ও মিউকাস নির্গত হয়। এই জীবাণুর দ্বারা অন্ত্র মধ্যস্থ শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী তে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফলে শ্লেষ্মাযুক্ত মল এবং ক্যাপিলারি অর্থাৎ সূক্ষ্ম রক্ত জালক আক্রান্ত হয় ফলে রক্ত বের হতে থাকে। একেই রক্তামাশয় বা ব্যাসলারি ডিসেন্ট্রি বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র পৌষ্টিকতন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স এই রোগ সব বয়সে হতে পারে।
আক্রমণের লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমান হারে এই রোগ হতে দেখা যায়।
কারণ
দূষিত পানি ও খাদ্যের সাথে এই রোগের জীবাণুর মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
লক্ষণ
১ সামান্য জ্বর ভাব খুব জ্বর হতে পারে।
২ বমি হতে পারে বা গা বমি ভাব থাকে।
৩ পেটে ব্যাথা ও কোথানি সহ বারংবর রক্ত মিশ্রিত আমযুক্ত মল নির্গত হতে থাকে।
৪ সারাদিনের ১০ থেকে ২৫ বার পর্যন্ত পায়খানা হতে পারে।
৫ কিছু কিছু রোগীর ৪০ থেকে ৪৫ পায়খানা হতে পারে।
৬ পায়খানা খুব সামান্য পরিমাণে হয়।
৭ পায়খানার সাথে ছিট ছিট রক্ত বা পরিমাণে অনেক রক্ত নির্গত হতে পারে।
৮ চিকিৎসা না হলে রোগীর মোহ বা খিঁচুনি হতে পারে।
৯ মলে গন্ধ থাকে না। কখনো সামান্য গন্ধ থাকতে পারে।
১০ অনেকবার পায়খানা হবার ফলে শরীর দুর্বল হওয়া।
১১ হাতে পায়ে খিল ধরা এমনকি ডিহাইড্রেশন অর্থাৎ জল শূন্যতা হয়ে যেতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
প্রথম অবস্থায় ইলেকট্রাল প্রভৃতি ও আর এস পাওডারের সাথে যে কোন একটি ফুটন্ত জল ঠান্ডা করে তাতে মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে। এছাড়া গ্লুকোজের জল ডাবের জল বালির প্রোটিনেক্স প্রভৃতি অল্প অল্প করে খেতে দেওয়া যাবে
রোগী একটু সুস্থ বোধ করলে সুসিদ্ধ ভাত কাঁচা কলা ঝোল কাঁচা পোস্ত বাটা প্রভৃতি খেতে দেওয়া যাবে।আর ও পরে দই ছানা ঘোল বেল পাকা কলা ফলের রস ছাগলের দুধ প্রভৃতি খেতে দেওয়া ভালো।
মিছরির জল বরফ বা আইসক্রিম তেল ঝাল মসলা, প্রভৃতি খাওয়া নিষিদ্ধ।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমে সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
