বিবরণ
যকৃত কোষের ক্ষত এবং তাতে ফাইব্রাস টিস্যুর গঠন। এমনকি নবগঠিত ক্ষুদ্র গুটিকার উপস্থিতিও ঘটে একেই যকৃতের বাকৃতি বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র পৌষ্টিকতন্ত্র হৃদপিন্ডের অন্তঃ রক্ষা গ্রন্থি এবং বিপাকতন্ত্র এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স রোগের কারণের ওপর নির্ভর করে।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়ের এই রোগ হতে পারে।
কারণ
অত্যধিক মাদকদ্রব্য সেবন হেপাটাইটিস সিস্টিক ফাইব্রোসিস প্রভৃতি লিভারের রোগে দীর্ঘদিন ভোগা, বীজাণু সংক্রমণ উইলসনস ডিজিজে ভোগা শিশুদের ফুক্টোজ অসহ্যতা রক্তের টাইরোসিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার বিভিন্ন উচ্চমাত্রার ঔষধ খাওয়া প্রভৃতি থেকে এই রোগের উদ্ভব হয়।
লক্ষণ
১ বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
২ জ্বর অথবা জ্বর ভাব হতে দেখা যায়।
৩ প্লীহা বৃদ্ধি পায় এবং হাতে ঠেকে।
৪ বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে পেটে জল জমা হতে পারে।
৫ আঙুলের ডগা মোটা হয়।
৬ পেট উঁচু হয়ে যায়।
৭ জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয়।
৮ রক্তশূন্যতা ও দুর্বলতা শরীরের শীর্ণ হওয়া প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
৯ পাতলা পায়খানা রক্ত পায়খানা হতে পারে।
১০ রক্তবমি অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেখা যায়।
১১ ডানদিকের উপর পেটে প্রচন্ড ব্যাথা হয়। হাত দিয়ে চাপলে লিভার হাতের ঠেকে এবং সেই স্থানে ব্যাথা অনুভব হয়।
১২ পেট ফাঁপা অজীর্ণ অক্ষুধা প্রভৃতি হতে দেখা যায়।
১৩ মুখে তিক্ত আস্বাদ পিত্তবমি হতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
সিরোসিসের রোগীকে প্রোটিন জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে দিতে হবে। মাছ মাংস মাঠা তোলা দুধ শস্য দানা ডাল বাদাম রুটি, বিস্কুট প্রভৃতি খেতে দিতে হবে। রোগাক্রান্ত অবস্থায় ডাবের জল গ্লুকোজের জল শাকসবজির ঝোল প্রভৃতির ন্যাসোগ্যাসট্রিক টিউবের সাহায্য খাওয়াতে হবে।
জল লবণ মাদকদ্রব্য প্রভৃতি কম খেতে হবে। তেল চর্বি জাতীয় খাবার ঝাল মসলা প্রভৃতি খাওয়া নিষিদ্ধ।
সুস্থ হলে সুসিদ্ধ ভাত চারা পোনার বা কচি মাছের ঝোল কাঁচা পেঁপে তরকারি দই স্যালাড প্রভৃতি খাওয়া চলবে। ভালো বিস্কুট পাকা কলা ছানা চিঁড়া প্রভৃতি খেতে দেওয়া যাবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
