বিবরণ
বিভিন্ন কারণে হঠাৎ অনিচ্ছাকৃ তভাবে শ্বাসযন্ত্রের পেশি সমূহের সংকোচন শীলতার সৃষ্টি হয়। ফলে শ্বাসনালীর প্রবেশ পথে বাধা সৃষ্টি হয়। এবং বাতাস প্রবেশ ব্যাঘাত ঘটায় এবং এক ধরনের শব্দের সৃষ্টি হয়। একেই হেঁচকি বা বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র শ্বাসতন্ত্রের নার্ভাস অর্থাৎ স্নায়ু তন্ত্র এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সব বয়সেই এই রোগ হতে পারে। এমনকি গর্ভস্থ ভ্রূমণের এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরা এই রোগে চার গুণ বেশি আক্রান্ত হন।
কারণ
বহু কারণে এই রোগ হতে পারে। সাধারণতঃ যে হেঁচকি হয়। পৌষ্টিক নালীতে বায়ু সঞ্চার বা চাপ সৃষ্টির ফলে স্ফীত হয় এবং তা শ্বাসযন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে তার ফলে হয় ।এছাড়া খাদ্যনালীর প্রদাহ পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগ ও লিভার বা আগ্ন্যাশয়ের রোগ প্রোস্টেট গ্রন্থির রোগ অ্যাপেনডিসাইটিস বাত ডায়াবিটিস যক্ষ্মা হৃদপিন্ডের বিভিন্ন রোগ তাগুবরোগ মাদকাসক্তি প্রভৃতিতে ভুগতে ভুগতে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের হেঁচকি কেন্দ্র যা উপর সুষুম্না কান্ডে থাকে তাতে প্রভাব ফেলে ফলে হেঁচকির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ঔষধ সেবন বিভিন্ন কীটাদির দংশন প্রভৃতি থেকে ও এই রোগ হতে পারে।
লক্ষণ
১ অনেক সময় একটানা অনেকদিন ধরে হেঁচকি চলতে দেখা যায়।
২ মিনিটে ৪ থেকে ৫০ বার পর্যন্ত এই হেঁচকি হতে পারে।
৩ হেঁচকি থেমে থেমে বারংবার হয়।
৪ হিক হিক শব্দে বায়ু উদগার হতে দেখা যায়।
৫ হঠাৎ শুরু হয় এবং ½ মিনিট থেকে ১ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
ঠান্ডা পানীয় প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।শ্বাস প্রশ্বাসের খুব ধীরে ধীরে গ্ৰহণ করতে হবে। কাগজের ঠোঙা মুখে ঢাকা দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাসের নিলে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়। হালকা ও সহজপাচ্য খাদ্য খেতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
