বিবরণ
বিভিন্ন কারণে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড অর্থাৎ মূত্রাশয় গ্ৰন্থি স্ফীত ও প্রদাহিত হওয়াকে প্রসটেটাইটিস বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র জননতন্ত্র ও মূত্র তন্ত্রের প্রভৃতি এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সেই এই রোগ অধিক হতে দেখা যায়। তবে ৫০ বছরের উদ্ধের ও হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ এই রোগ কেবল পুরুষদেরই হয়।
কারণ
মূত্র নালী দ্ধারা বীজাণু প্রবেশ প্রস্টেট নালীতে মূত্রের প্রবেশ আঘাত লাগা গ্ৰন্থির ক্ষরণের গোলযোগ প্রভৃতি থেকে এই রোগ হতে পারে। এছাড়া মূত্রপাথরী অনেক সময় এই রোগের কারণ হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লেবসিয়েল্লা প্রোটিয়াস প্রভৃতি গ্ৰাম নেগেটিভ ব্যাকটিরিয়া স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস প্রভৃতি গ্ৰাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া এই রোগ ঘটায়।
লক্ষণ
১ প্রথমে তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা যন্ত্রণা। বিশেষ করে প্রস্রাবের সময় হতে দেখা যায়।
২ জ্বর ও শীত ভাব প্রভৃতি হতে পারে।
৩ ঘন ঘন প্রস্রাবর বেগ কিন্তু প্রস্রাব ত্যাগের সময় বাধার সৃষ্টি ঘটে।
৪ ক্যাথিটার দ্ধারা প্রস্রাব করালে কিছুক্ষণ রোগের কষ্ট কমে যায় পুনরায় মূত্রথলিতে মূত্র সঞ্চত হলে ব্যাথা যন্ত্রনার সুত্রপাত হয়।
৫ বারংবার অল্প অল্প করে প্রস্রাব হয়।
৬ প্রস্রাবের করার সময় খুব কষ্ট হয়।
৭ প্রস্টেট গ্রন্থি ফুলে ওঠে গরম হয়।
৮ অগুকোষ লিঙ্গে প্রচন্ড ব্যাথা হয়।
৯ বীর্যপাতের সময় যন্ত্রণা হতে থাকে। রক্তপাত হয়।
চিকিৎসা
১ প্রদাহ নাশের জন্যে দিতে হবে।
Tablet Trigan D ট্যাবলেট ট্রাইগ্যান ডি
১ টি করে দিনে ৩ বার খাবার পর খেতে হবে ৩ থেকে ৫ দিন।
২ কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখার জন্য দিতে হবে।
Naturocare Pawder নেচারকেয়ার পাওডার
২ থেকে ৩ চামচ করে রাত্রে গরম জলসহ রাত্রে খেতে হবে।
৩ ক্রনিক কেস অথবা অ্যাকিউট অবস্থায় রোগের লক্ষণ হালকা থাকলে য়ে কোন ঔষধ ভালো ফল পাওয়া যায়।
Tablet Bactrim DS ট্যাবলেট ব্যাকট্রিম ডি এস
১ টি করে দিনে ২ বার ৫ থেকে ১০ দিন দিতে হবে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ যৌন মিলনের সময় বীর্যস্খলনে বাধাদান করা উচিত নয়।
২ প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমন ও সন্ধ্যভ্রমন এই রোগের পক্ষে ভালো
৩ স্বাভাবিক অবস্থায় মল ও মূত্রের বেগ চেপে রাখা উচিত নয়।
৪ অ্যাকিউট অবস্থায় সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
৫ মূত্র থলিতে মূত্র জমে থাকা অবস্থায় যৌন মিলনের রত হওয়া উচিত নয়।
৬ পুষ্টিকর অথচ সহজপাচ্য খাদ্য খাওয়া একান্ত জরুরী।
৭ পানীয় জল বেশি খেতে হবে।
৮ মূত্রনালীতে প্রস্রাব জমে থাকলে তা ক্যাথিটার ব্যবহার করে নিগর্মনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটানা ডাকার দরকার হলে ফোলে ক্যাথেটার ব্যবহার করতে হবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
