সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

Renal Stones Cause Use in Bangali মূত্রথলিতে পাথর হওয়ার কারণ

 

বিবরণ

মূত্র যন্ত্রের বিশেষতঃ কিডনিতে পাথরের উপস্থিতিকে মূত্রপাথরী বা ইউরোলিথিয়াসিস  বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র মূত্র যন্ত্রের এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
বংশগত কারণ অনেক ক্ষেত্রে বংশগত কারণ থাকে।
আক্রমণের বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এই রোগ হতে পারে। তবে ৩০ থেকে ৫০ বৎসরের মধ্যেই বেশি হতে দেখা যায়।
এখন তো লিঙ্গ মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরা এই রোগে অধিক আক্রান্ত হন।

কারণ

খাদ্যবস্তুর পরিপাকের পর শোষণের সময় যে অপ্রয়োজনীয় অংশ প্রস্রাবের মাধ্যমে পরিত্যক্ত হয় তার ব্যাঘাত ঘটলে ঐ অংশের মূত্র যন্ত্রের ভিতরে সঞ্চিত হতে থাকে। এবং পরে তা পাথুরীতে পরিণত হয়। এই রোগ ক্যালসিয়াম অক্সালেট বা ক্যালসিয়াম ফসফেটের সঞ্চয় জনিত কারণেই বেশি হয় শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ জনের এছাড়া ইউরিক অ্যাসিড সঞ্চয় থেকে হতে দেখা যায় শতকরা ৫ জনের। সংক্রমণ বা অ্যালকালাইন ইউরিন থেকে হয় ১৫% থেকে ২০%। বাকী কিছু বংশগত কারণ হতে দেখা যায়।
ক্যালসিয়াম অক্সালেট ফসফেট স্টোন অধিক ভিটামিন সি ও ডি খাওয়া অধিক ক্যালসিয়াম যুক্ত অ্যান্টাসিড খাওয়া অন্যান্য ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রভৃতি থেকে সৃষ্টি হয়

লক্ষণ

১ অনেক সময় কষ্টকর প্রস্রাব হতে থাকে।
২ প্রস্রাব তার সাথে খুব ছোট পাথর নির্গত হতে পারে।
৩ ঘাম হওয়া হৃদপিন্ডের গতি বৃদ্ধি পাওয়া প্রভৃতি ঘটতে পারে।
৪ জ্বর ভাব ও গা বমি বা বমি হতে পারে।
৫ রক্ত প্রস্রাব এই সকল উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
৬ হঠাৎ তলপেটের পিঠের নিচের দিক প্রভৃতি অংশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়।
৭  হঠাৎ প্রস্রাবের বাধার সৃষ্টি হতে পারে।
৮ তার সাথে খুব ছোট পাথর নির্গত পারে।
৯ রোগী সর্বদা অস্বস্তিবোধ করে স্থির ভাবে থাকতে পারে না।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা

১ রোগীকে দিবাভাগে প্রতি ১ ঘন্টা অন্তর ২০০ থেকে ২৪০ মিলি করে জল খেতে হবে এবং রাত্রিতে সম্ভব হলে ২ ঘণ্টার অন্তর ২০০ মিলি করে জল খেতে হবে।
২ পাতলা দুধ মিছরির সরবৎ প্রভৃতি খাওয়া চলবে।
৩ ঝোল ভাত শাকসবজি প্রভৃতির খাওয়া চলবে।
৪ রসাল ফল তালশাস তরমুজ সুমিষ্ট আম প্রভৃতি খাওয়া ভালো। শাক আলু রাঙ্গা আলু প্রভৃতি ও খাওয়া চলবে।
৫ প্রোটিন ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি জাতীয় ঔষধ অ্যান্টাসিড ঔষধ এবং এই জাতি খাদ্যবস্তু কম খেতে হবে। দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্য মাছ মাংস সামুদ্রিক মাছ চা কফি চুন চকোলেট টমেটো বাঁধাকপি বিট গাজর লেবু লিচু ডিম খাওয়া দরকার।
৬ রুকিকে কিছুদিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।

এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

How to use Calcium channel blockers

সকল প্রকার হৃৎশূল উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপেশীর বিবৃদ্ধি প্রান্তস্থ রক্তবাহের সমস্যা কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর হার্ট অ্যাটাক ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা অন্ননালীর আক্ষেপ প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় ৫ থেকে ১৫ মিগ্ৰা ২ থেকে ৩ বার পর্যন্ত দেওয়া হয় ক্যালসিয়াম চ্যানেল বিপাকে প্রভাবিত কাজ করে হৃদপিন্ড চাপ উপমায় করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে  পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা ঘোরা মাথা যন্ত্রণা বমি ভাব দুর্বলতা বুক ধড়ফড়ানি নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রান্তস্থ শোথ প্রভৃতির হতে পারে সাবধানতা ডায়াবেটিস নিম্ন রক্তচাপ স্তন্যদানকাল গর্ভাবস্থায় প্রভৃতিতে ব্যবহার নিষিদ্ধ! অ্যামলোডিপিন উচ্চ রক্তচাপ অ্যাকিউট ও ক্রনিক হৃৎশূল প্রভৃতিতে ব্যবহার করা হয় উচ্চ রক্তচাপ হৃৎশূল হার্ট অ্যাটাক রক্তাধিক্য জনিত হার্ট ফেলিওর বাম ভেন্টিকলের ৫ থেকে ১০ মিগ্ৰা দিনে ১ বার দেওয়া যায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মাথা যন্ত্রণা ক্লান্ত স্বাভাবিক ঝিমুনি মাথা ঘোরা উত্তেজনা বুক ধড়ফড়ানি বমিভাব প্রান্তস্থ শোথ পেটে ব্যাথা প্রভৃতি হতে পারে সাধারণত যকৃতের রোগে নিম্ন রক্তচাপ গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকাল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ট্রাইমেটাজিডিন ইসকিমিক হার্ট ডিজিজ অ...

How to uses Dengue uses in bangali ডেঙ্গি কী

  ডেঙ্গি হলো একটি মশা বাহিত ও ভাইরাস ঘটিত প্রাণঘাতীয় রোগ  ডেঙ্গির মশা এডিস এজিপটাই ও এডিস এলবোপিকট্রাস এই দুই স্ত্রী মশা হল ডেঙ্গির ভাইরাসের মূল বাহক এগুলি সাধারনত দিনের বেলায় কামড়ায় ডেঙ্গি হ্যামারেজিক ফিভার এর উপসর্গ জ্বর আসার দুই থেকে পাঁচদিনের মধ্যে শারীরিক অবস্থায় অবনতি শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে রক্তে অনুচক্রিকা  প্লেটলেট কমে যায়। রক্তচাপ কমে হাত পা ঠান্ডা হতে শুরু করে নাক মুখ বা দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে অবশ্যই মনে রাখবেন ডেঙ্গির মশা দিনে কামড়ায় ও পরিস্কার জলে ডিম পাড়ে যত্রতত্র জল জমতে দেবেন না যেমন ফুলের টব বালতিতে ইত্যাদি স্বাভাবিক ডেঙ্গির উপসর্গ ১ হঠাৎ প্রচন্ড জ্বর আসা সঙ্গে মাথা ব্যাথা ২ জ্বর একদিনের মধ্যে দেখা যায় মাথায় হাতে পায়ে গাঁটে ৩ দুই চোখের পিছনে প্রচন্ড ব্যাথা ৪ শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি ও জ্বালা ভাব থাকে ৫ বমি ও কাঁপুনি থাকে ৬ আরো ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা  ১) প্রথমেই আতঙ্কিত না হওয়া ২) উপরের উপসর্গ মিললে হাসপাতালে যান ৩) চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না ৪) বেশি পরিমাণে ডাবের জল নুন চিনি জল ORS পান করুন ৫) অল...

nephritis meaning in bengali নেফ্রাইটিস কেন হয়

  বিবরণ বৃক্ককোষে অবস্থিত ছাঁকনি সমূহ গ্লোমেরুলি জীবাণু দূষণ জনিত কারণে ক্ষতিগ্ৰস্ত এবং প্রদাহিত হতে থাকে। একেই বৃক্ককোষে প্রদাহ বা তীব্র গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস বলা হয়। আক্রান্ত তন্ত্র মূত্রযন্ত্র এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের বয়স যে কোন বয়সই এই রোগ হতে পারে। আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলাদের যে পুরুষেরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন। কারণ ফ্যারিংজাইটিস টনসিলাইটিস মধ্যকর্ণের প্রদাহ প্রভৃতি রোগের বীজাণুরা মূত্রগ্ৰন্থিকে আক্রমণ করে বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। সরাসরি সংক্রমণ ও হতে পারে। লক্ষণ ১ পেটে যন্ত্রণা হতে পারে। ২ জ্বর ভাব হতে দেখা যায়। ৩ ক্ষুধা মন্দা হতে পারে। ৪ প্রস্রাবে জ্বালা হতে পারে। ৫ প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। ৬ প্রস্রাবের রক্ত থাকে সামান্য। ৭ বেশি থাকলে চায়ের মত প্রস্রাব হয়। ৮ সকালে চোখ মুখ ফোলে এবং বিকালে ও সন্ধ্যা পা ও জানু ফোলে। ৯ প্রস্রাবের পরিমাণ কম হয়। ১০ পিঠের নিচের দিকে আড়ষ্ট ব্যাথা হয়। ১১ দু পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। আনুষঙ্গিক চিকিৎসা ১ রোগীকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ২ জটিলতা সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে। ৩ প্রয়োজনে ডায়ালিসিস করতে হবে। ৪ সুসিদ্ধ ভাত...