বিবরণ
মুখগহ্বরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে ক্ষত বা জীবাণু দুষন হয়ে প্রদাহের সৃষ্টি হলে। তাকে স্টমাটাইটিস বা মুখগহ্বরের প্রদাহ বলে।জিহ্বাতে হলে গ্লসাইটিস বলে।
আক্রান্ত তন্ত্র চর্ম ও বহিঃক্ষরা গ্ৰন্থি এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স সকল বয়সেই এই রোগ হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের সমান হারে এই রোগ হতে দেখা যায়।
কারণ
অপুষ্টি ও ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগা ওর্যাল হাইজিন অর্থাৎ মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মেনে না চলা। অতিরিক্ত ধূমপান হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস আক্রমণ ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস জীবাণুর আক্রমণ এলার্জি ঘটিত কারণ যেমন দাঁতের মাজন অথবা ঔষধ অথবা খাদ্যবস্তু বা কোন ধাতব বস্তুর সংস্পর্শ জনিত গিয়েও মুখগহ্বরের ক্ষত হতে পারে। এছাড়া ধারাল দাঁতের খোঁচায় কেটে বা গর্ত হয়ে গিয়েও মুখগহ্বরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে প্রদাহ হতে পারে।
লক্ষণ
১ সকল প্রকার ক্ষতেই তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা হয়।
২ এবং মুখগহ্বরের ভিতরে যে কোন অংশের সাথে স্পর্শ হলে তা তীব্র কষ্টকর বোধ হয়।
৩ আক্রান্তর অংশে সর্বদা জ্বালাও যন্ত্রণা হয়।
৪ জিহ্বার ওপরে বা মুখের মধ্যে মিউকাস মেমব্রেন ছোট ছোট দু একটি বা একক্রে অনেক গুলি ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
৫ হার্পিস বা অন্যান্য ভাইরাস ঘটিত কারণে হলে ঠিক লিচুর কাঁটার ন্যায় ক্ষত দেখা যায়।
৬ মুখগহ্বরের ভিতরের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে অর্থাৎ মিউকাস মেমব্রেন লালবর্ণ হয়ে যায়।
৭ দাঁতের মাড়িও লাল হয়ে ফুলে যায়।
৮ অ্যালার্জি ঘটিত কারণে হলে ক্ষত ঠোঁট মুখে কোণ এবং ভেতরের মিউকাস মেমব্রেন প্রভৃতি অংশে বের হয়।
৯ এই ক্ষতে জ্বালা এবং চুলকানি বেশি হয়।
১০ ক্যানডিডা ঘটিত ক্ষত হলে তা সাদা সাদা এবং এক মিলিমি থেকে এক সেমি ব্যাসের আকারের হয়।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।
২ ঝাল ও মশলাদার খাদ্য কম খেতে হবে।
৩ খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ।
৪ ধূমপান ও মাদকদ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ।
৫ দুধ ঘি পনীর কাঁচা টমেটো ফল মূল বিট গাজর সিদ্ধ ছোলা মটর ভেজানো ডিম প্রভৃতি খাওয়া ভালো।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
