বিবরণ
এটি যৌনমিলনের মাধ্যমে সংক্রমিত এক ধরনের সংক্রামক যার ফলে জননতন্ত্র
এবং তৎসংলগ্ন অংশে যন্ত্রণাদায়ক ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং কুঁচকির প্রদাহ হয়
আক্রান্ত জনতন্ত্র ত্বক প্রভৃতি এই রোগের ফলে আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স ১৪ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে এই রোগ হতে দেখা যায়।
আক্রমণের লিঙ্গ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের এই রোগ অধিক হতে দেখা যায়।
কারণ
যৌন মিলনের সময় এই রোগের জীবাণু আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে অনাক্রান্ত ব্যক্তির যৌনাঙ্গে চলে আসে।
হেমোফিলাস ডুক্রেয়ী নামক গ্ৰাম নেগেটিভ বীজাণু আক্রমণ এই রোগ হয়।
লক্ষণ
১ এই সকল ক্ষতে জ্বালা যন্ত্রণা হয় এমনকি রক্ত ও ঝরে।
২ পরে আরও উদ্ভেদ বের হয় এবং একই পরিণতি হয়।
৩ পুরুষের লিঙ্গমুণ্ড মূত্রছিদ্র প্রভৃতি অংশে এবং মহিলাদের যোনিদ্বার ও তৎ
সংলগ্ন অংশে ছোট ছোট লাল বর্ণের ফুস্কুড়ি হয়।
৪ এই রোগের জীবাণু মূত্রনালীতে বিস্তার লাভ করে না। ফলে সেখানে ক্ষতের
সৃষ্টি হয় না বা প্রস্রাবে কোন কষ্ট হয় না।
৫ কুঁচকির গ্ৰন্থি বীজাণুর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পেকে যায় এবং
ফেটে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
৬ ২৪ ঘন্টা পর থেকে ১ সপ্তাহের মধ্যে ঐ ফুস্কুড়ি গুলি ক্ষতে পরিণত হয় এবং তা
থেকে পুঁজ ও কষ ঝরতে থাকে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ গরম জলে ডেটল বা ফেয়ারজিনল বা আইটিয়ল ৩ প্রভৃতি ব্যবহার করে ক্ষতস্থান নিয়মিত ধৌত করণ করা দরকার
২ এই রোগে আক্রান্ত রোগীকে পুষ্টিকর অথচ সহজপাচ্য খাদ্য খেতে দিতে হবে।
৩ রোগ যতদিন না সারছে ততদিন যৌনমিলন বন্ধ রাখতে হবে।রোগ সারার পর কিছু দিন কন্ডোম ব্যবহার করে যৌনমিলন ঘটাই বিধেয়।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমে সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
