বিবরণ
বিভিন্ন কারণে প্রস্রাব নিঃসরণের সময় প্রস্রাব ও নির্গমন দ্বারে জ্বালা যন্ত্রণা হওয়াকে ইউরেথ্রাইটিস বা মূত্রনালীর প্রদাহ বলা হয়।
আক্রান্ত তন্ত্র মূত্র যন্ত্রের এই রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়।
আক্রমণের বয়স এই রোগ বয়স্কদের বেশি হয় তবে শিশুদের হতে পারে।
আক্রান্ত লিঙ্গ মহিলা ও পুরুষদের এই রোগ সমানভাবে হতে দেখা যায়।
কারণ
মুত্র নালীতে ক্যাথিটার প্রবেশ করাতে গিয়ে আঘাত লেগে কেটে গেলে এবং ক্ষত সৃষ্টি হলে এই রোগ হতে পারে। মূত্র পায়ী নির্গমনকালে অন্যান্য বীজাণু আক্রমণ জনিত কারণে ক্ষতের সৃষ্টি হলে প্রস্রাব ত্যাগের সময় তা প্রবাহিত হয়।
লক্ষণ
১ জ্বর গা হাত পা জ্বালা করা প্রভৃতি হতে পারে।
২ প্রস্রাবের সাথে রক্তের টুকরো আসতে পারে।
৩ কষ্টকর প্রস্রাব ডিসুরিয়া অর্থাৎ প্রস্রাব নির্গমনের সময় প্রচন্ড জ্বালা এবং দপদপানি যন্ত্রণা হতে থাকে।
৪ সর্বদা মূত্রনালীতে দপদপানি যন্ত্রণা হতে পারে।
৫ মূত্রনালীতে সুড়সুড় করা ও ফোলা ভাব লক্ষ্য করা যায়।
৬ বস্তিদেশে সর্বদা অস্বস্তিভাব মনে হয় আবার প্রস্রাব হবে এবং তাতে কষ্টের উপশম হবে কিন্তু সামান্য প্রস্রাব হয় কষ্টের কোনো উপশম ঘটে না।
৭ দুগ্ধবৎ অথবা গাঢ় পূজ নিঃসরণ হতে পারে।
৮ মহিলাদের মূত্রদ্বার ফোলা চুলকানোর যোনি ও জরায়ুগ্ৰীবার প্রদাহ প্রভৃতি ও হতে পারে।
৯ সঙ্গমকালে কষ্ট হওয়া প্রভৃতি ও ঘটতে পারে।
আনুষঙ্গিক চিকিৎসা
১ টক ঝাল মাদকদ্রব্য ব্যতীত সকল প্রকার খাদ্য বস্তুই খাওয়া ভালো।
২ অন্যান্য রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
৩ পানীয় জল ডাবের জল সরবৎ প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।
৪ তলপেটে হালকা গরম সেঁক দেওয়া ভালো।মূত্রনালী পিচকারী দ্বারা ধৌতকরণ
করা ভালো।
৫ তার জন্য ডেটল বা স্যাভলনের জল ব্যবহার করা যাবে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তারবাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
