ইন্ট্রা মাসকুলার ইঞ্জেকশন
ইন্ট্রা মাসকুলার কথার অর্থ পেশীর মধ্যে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় এই ইঞ্জেকশন সচরাচর বাহুর উপরের ডেল্টয়েড পেশী অথবা পাছার গ্লুটিয়াল পেশীতে দেওয়া হয়
শিশুদের ক্ষেত্রে Thigh এ দেওয়া হয় বাহুর পেশীর চেয়ে পাছার পেশীতে ইঞ্জেকশন পুশ করলে ব্যথা যন্ত্রণা কম হয়
এখন চিত্রের ন্যায় বাম হাত দিয়ে বগলের এক ইঞ্চি নিচে ধরে চাপ দিয়ে পেশীটিকে উপরের দিকে ফুলিয়ে নিতে হবে
গ্লুটিয়াল পেশীতে হলে দেবার জায়গটি দুটি আঙ্গুল দিয়ে টানটান করে ধরতে হবে
এবার ঐ স্থানটিতে অ্যালকোহল বা রেকটিফায়েড স্পিরিট ভেজানো তুলো ঘষে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং নিডলটিকেও ঐ তুলা দিয়ে মুছে নিতে হবে এবং পূর্ব লিখিত নিয়মে ভরা ঔষধের সিরিঞ্জ বাহুর সঙ্গে ৬০°কোণ করে স্থাপন করতে হবে এবং ঐ ভাবে ঠেলে সূঁচটিকে পেশীতে প্রবেশ করাতে হবে সূঁচ সম্পূর্ণ প্রবেশ করলে দেখতে হবে তা শিরাতে পড়েছে কিনা
তার জন্য সিরিঞ্জের পিস্টনটিকে সামান্য পিছনে দিকে টানতে হবে যদি সিরিঞ্জের ঔষধ কোন রক্তকণা এসে পৌঁছায় তাহলে বুঝতে হবে ইহা শিরাকে ভেদ করেছে
তাহলে ঔষধ করা যাবে না তা পুনরায় টেনে নিয়ে করতে হবে
আর যদি কোন রক্ত কণা না আসে তাহলে পিস্টনটিকে ধীরে ধীরে সামনে ঠেলে সিরিঞ্জস্থিত ঔষধ শরীরে প্রবেশ করাতে হবে
পাচার ক্ষেত্রে নিডল ৯০° কোণ করে প্রবেশ করাতে হবে ও একই
পদ্ধতিতে ঔষধ পুশ করে নিডল বের করে আনতে হবে
দুই প্রকার ইঞ্জেকশনের শেষে ঐ অংশ চেপে ধরে ভালভাবে
মর্দন করে দেওয়া ভালো তাতে ঔষধ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাথা যন্ত্রণা কম হয়
এই আর্টিকেলটি পড়ে কোন রকমের সিদ্ধান্তে আসার আগে যোগ্য ডাক্তার বাবুর সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করুন
